Advertisement
E-Paper

ঠিকানা বদলেও বইমেলা জমজমাট আসানসোলে

কোথাও গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদা-ব্যোমকেশ, আবার কোথাও হাঁদা-ভোঁদা ও বাঁটুল দ্য গ্রেটের মতো কমিক চরিত্র। আসানসোল বইমেলায় বিক্রির মাপকাঠিতে এই চরিত্রগুলি এখনও শীর্ষে। শীতের সন্ধ্যায় জমাটি ভিড়ে এই নামী চরিত্রগুলির সঙ্গেই দেদার বিকোচ্ছে নানা লিটল ম্যাগাজিন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:২১
বই-বাছাই। আসানসোল ইন্ডোর স্টেডিয়াম লাগোয়া মাঠে বইমেলায় শৈলেন সরকারের তোলা ছবি।

বই-বাছাই। আসানসোল ইন্ডোর স্টেডিয়াম লাগোয়া মাঠে বইমেলায় শৈলেন সরকারের তোলা ছবি।

কোথাও গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদা-ব্যোমকেশ, আবার কোথাও হাঁদা-ভোঁদা ও বাঁটুল দ্য গ্রেটের মতো কমিক চরিত্র। আসানসোল বইমেলায় বিক্রির মাপকাঠিতে এই চরিত্রগুলি এখনও শীর্ষে। শীতের সন্ধ্যায় জমাটি ভিড়ে এই নামী চরিত্রগুলির সঙ্গেই দেদার বিকোচ্ছে নানা লিটল ম্যাগাজিন।

এ বার আসানসোল বইমেলার ঠিকানা বদল হচ্ছে। বইমেলা হচ্ছে আসানসোল ইন্ডোর স্টেডিয়াম লাগোয়া মাঠে। ৯ জানুয়ারি বইমেলার উদ্বোধন করেন আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক সোমাত্মানন্দ। মেলার প্রতি দিনই থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১৮ জানুয়ারি হল বইমেলার শেষ দিন। এ বার বইমেলায় রয়েছে কলকাতার বেশ কয়েকটি নামী প্রকাশনা সংস্থা। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থাক বিক্রয় কর্মীরা জানাচ্ছেন, গোয়েন্দা ও কমিকসের বইয়ের সঙ্গেই ভাল বিক্রি হচ্ছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের বই। একটি প্রকাশনা সংস্থার কর্মী সম্রাট বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সদ্য প্রকাশিত বাঙালী ক্যাবারে নৃত্য শিল্পী শেফালি দাসের আত্মজীবনী ‘সন্ধ্যা রাতের শেফালি’র কাটতি খুব ভাল। এ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য বিক্রি হচ্ছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘প্রথম আলো’ ও ‘পূর্ব পশ্চিম’ উপন্যাসের। লিটিল ম্যাগাজিন স্টলেও চোখে পড়ছে ভিড়। যোধন পত্রিকার স্টলে মিলছে খনি ও শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন। বিক্রিও খারাপ নয়।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ৩৪ বছর আগে আসানসোল ইস্টার্ন রেলওয়ে স্কুল মাঠে এই বইমেলা শুরু হয়েছিল। বছর দশেক আগে সেখান থেকে মেলা সরে যায় বুধা কেল মাঠে। আয়োজকরা জানান, বুধা রেল মাঠে বইমেলা হলে পাশের হটন রোডে যানজট হচ্ছিল। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যা হচ্ছিল। তাই মেলা শহরের ভিতরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি, এখানে অনেক বেশি জায়গা থাকায় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুবিধা হবে। বইও বেশি বিক্রি হবে। যদিও বইমেলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে বলছেন, নতুুন ঠিকানায় জায়গা অনেক বেশি। ফলে লোক বেশি আসছে।

যদিও কোনও কোনও প্রকাশকের ক্ষোভ, বর্তমানে যেখানে মেলা হচ্ছে সেই জায়গা মূল শহর থেকে দূরে। মেলা যে সরছে সেই কথা ঠিক মতো প্রচার করা হয়নি। তাই প্রত্যাশিত ভিড় হচ্ছে না।

asansol book fair
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy