টাকা তছরুপের অভিযোগে ডাকঘরের এক আধিকারিককে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। বৃহস্পতিবার আমানতকারীর টাকা তছরুপের দায়ে ওই অভিযুক্তকে নিজের হেফাজতে নিয়েছেন আসানসোলের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (প্রথম) মুকুলকুমার কুণ্ডু। আজ, শুক্রবার তাকে সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা।
আসানসোল আদালতের প্রধান সরকারি আইনজীবী স্বরাজ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০০৫-০৬ সালে জামুড়িয়া থানার নন্ডি ডাকঘরের আধিকারিক পদে কাজ করতেন দক্ষিণ ধাদকার সুকান্ত পল্লির বাসিন্দা দেবাদিদেব মণ্ডল। জামুড়িয়ার জামবাদ এলাকার বাসিন্দা, পেশায় কৃষক গঙ্গাধর ঘোষ সে সময় তার কাছে একটি টাকা জমানোর পাশবই করান। ২০০৬ সালের ১৮ জুন গঙ্গাধরবাবু ওই পাশবইতে জমা করানোর জন্য ডাকঘরের আধিকারিক দেবাদিদেব মণ্ডলের হাতে ৩৯ হাজার টাকা তুলে দেন। এর পরে ওই আধিকারিক পাশবইতে টাকা জমা করার কথা লিখে ডাকঘরের ছাপ দিয়ে দেন। এর প্রায় ছ’মাস পরে গঙ্গাধরবাবু টাকা তোলার জন্য ডাকঘরে গিয়ে দেখেন ওই ডাকঘরে দেবাদিদেব মণ্ডলের বদলে অন্য এক জন আধিকারিক রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পুরনো আধিকারিক বদলি হয়ে গিয়েছেন। এরপরে গঙ্গাধরবাবু টাকা তোলার স্লিপ দিতেই নতুন আধিকারক তাঁকে জানিয়ে দেন তাঁর নামে ডাকঘরে কোনও টাকা জমা নেই। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে ওই আমানতকারীর। এরপরেই তদন্ত চেয়ে আসানসোলের বড় ডাকঘরে আবেদন করেন তিনি। সেখানকার একটি বিশেষ দল তদন্ত করে পুরো বিষয়টির সত্যতা খুঁজে পায়। এরপরে ওই অভিযুক্তের কাছ থেকে লিখিত আকারে তছরুপ সংক্রান্ত স্বীকারোক্তি আদায় করেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। আসানসোল বড় ডাকঘরের তৎকালীন আধিকারিক নিখিল কর্মকার অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করেন ও তাঁর বিরুদ্ধে জামুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আসানসোল আদালতে চার্জশিট দেয়। ইতিমধ্যে প্রধান সরকারি আইনজীবী স্বরাজ চট্টোপাধ্যায় প্রায় ১০ জন সাক্ষী হাজির করেছেন এই মামলায়।