সপ্তাহ তিনেক আগে পিকনিকে গিয়ে দু’দলের মারামারিতে মারা গিয়েছিলেন মাধব পাল নামে এক যুবক। পরে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, সুকান্তপল্লির বিশ্বজিৎ ঘোষাল ছ’জনের নামে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই বুধবার রাতে কাটোয়ার পানুহাট বাজার থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন সত্যনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, গঙ্গাধর মাঝি ও সুকুমার দেবনাথ। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তারা পুলিশকে জানিয়েছে, বাঁশ দিয়ে মাধবের মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। পুলিশ ওই বাঁশটি উদ্ধারও করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের কাটোয়া আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ জানুয়ারি ভাগীরথী ঘেঁষা গোবিন্দপুর চরে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন মাধবেরা। পানুহাটের পশ্চিমপাড়ার কয়েকজন যুবকও সেখানে পিকনিক করছিল। পিকনিক শেষে মাধব ও তাঁর সঙ্গী কৌশিক দত্ত সাইকেলে রান্নার সামগ্রী নিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে পশ্চিমপাড়ার ওই যুবকেরা পথ আটকে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ। তাদের মধ্যে বচসা বাধে। পরে মাধবকে রাস্তায় ফেলে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় কৌশিকের হাত ভাঙে, মাধবের মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত লাগে। মাধবকে প্রথমে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সোমবার সকালে মাধব অসুস্থ হয়ে পড়লে ফের তাঁকে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়। মাথার ভেতর রক্তক্ষরণ হওয়ায় অস্ত্রোপচারের জন্য কলকাতার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয় মাধবকে। মঙ্গলবার সকালে অস্ত্রোপচার হবে বলেও সিদ্ধান্তও হয়। কিন্তু তার আগেই মারা যায় মাধব।
পুলিশ জানিয়েছে, বাকি তিন অভিযুক্তকেও খোঁজা হচ্ছে। তবে তারা এলাকায় নেই বলে পুলিশের ধারণা। যে তিন জন এখনও ধরা পড়েনি, তাঁদের মধ্যে একজন মাধবের মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেছিল বলেও পুলিশের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy