ভোট ঘোষণার পরে পার দু’সপ্তাহ। সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপিসকলেই প্রার্থীর নাম জানিয়ে নেমে পড়েছে প্রচারে। দোলের দিন রঙ খেলার ফাঁকেও এক প্রস্ত প্রচার চালানোর সুযোগ পেয়েছেন প্রার্থীরা। কিন্তু এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি কংগ্রেসের। ফলে, শুরু হয়নি প্রচারও। এই পরিস্থিতিতে খানিকটা হতাশ দলের বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের কর্মী-সমর্থকের।
এই কেন্দ্রে এ বার সিপিএমের প্রার্থী গত বারের জয়ী সাইদুল হক। তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন পেশায় চিকিৎসক মমতাজ সংঘমিতা। দু’জনেই প্রচার, কর্মিসভা শুরু করে দিয়েছেন। বর্ধমান রাজ কলেজের শিক্ষক, গলসির জাগুলিপাড়ার বাসিন্দা সাইদুল হক প্রচার করে বলছেন, “পরিস্থিতি বেশ বদলেছে। অনেক কিছুই এখন মানুষ বুঝতে পারছেন। আর সে জন্যই প্রচারে এত সাড়া পাচ্ছি।” আর ভোটের মাঠে নতুন তৃণমূলের মমতাজ বলছেন, “রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যোগ না থাকলেও মানুষের সঙ্গে যোগ রয়েছে। তা কাজে আসবে নির্বাচনে।” নরেন্দ্র মোদীর ‘চায়ে পে চর্চা’ বিশেষ সাড়া ফেলেনি দুর্গাপুরে। কিন্তু দল লোকসভার প্রার্থী ঘোষণা করতেই নড়েচড়ে বসেছেন শহরের বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এ বার এই কেন্দ্রে দলের প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। ইতিমধ্যে মিছিল করে প্রচার শুরু করেছেন তিনিও। বিজেপি নেতা-কর্মীদের দাবি, প্রচারে ভাল সাড়াও মিলছে।
তিন দলের নেতা-কর্মীরা যখন পরিকল্পনা, প্রচারে ব্যস্ত, কংগ্রেসের তরফে কোনও সাড়া নেই। দলের কর্মী-সমর্থকেরা বলছেন, আস্তে আস্তে দেওয়ালও সব জায়গা দখল করে নিচ্ছে নানা দল। পাড়ায় পাড়ায় প্রচারে যাচ্ছেন অন্য দলের প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা। এমনকী, দোলের দিন রঙ খেলার নামেও নানা দল জনসংযোগের কাজ সেরে নিয়েছে। অথচ, কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা এখনও ময়দানে ঝাঁপাতে পারছেন না। দুর্গাপুরের এক আইএনটিইউসি নেতা বলেন, “কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।” দলের এক যুব নেতার দাবি, কংগ্রেসের একটা স্থায়ী ভোট ব্যাঙ্ক আছে। তা ধরে রাখার জন্য দ্রুত প্রচার শুরু করা প্রয়োজন। দলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, “কর্মীরা কাজ করার জন্য প্রস্তুত। অথচ তাঁরা ভোটের মাঠে নামতে পারছেন না।” কংগ্রেসের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি সুদেব রায় অবশ্য বলেন, “আশা করছি, আগামি দু’তিন দিনের মধ্যেই উচ্চ নেতৃত্ব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy