Advertisement
E-Paper

প্রচারের শেষ পক্ষে চমক দিতে মরিয়া সবাই

ভোটের বাকি মেরেকেটে আর সপ্তাহ দু’য়েক। স্লগ ওভারে প্রচারে ঝড় তুলে ভোটারদের মন জয় করতে এখন মরিয়া সব ক’টি রাজনৈতিক দল।বর্ধমান জেলায় ৩টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান দুর্গাপুর আসনে ভোট হবে ৩০ এপ্রিল। প্রচারের শুরুতে বিভিন্ন পরীক্ষা থাকার কারণে রাজনৈতিক দলগুলি প্রচারে মাইক বাজানোর অনুমতি পায়নি। ফলে সেই সময়ে হয়েছে মূলত কর্মিসভা, মিছিল, রোড-শো। মার্চের শেষ দিকেই পরীক্ষা শেষ।

কেদারনাথ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৪১

ভোটের বাকি মেরেকেটে আর সপ্তাহ দু’য়েক। স্লগ ওভারে প্রচারে ঝড় তুলে ভোটারদের মন জয় করতে এখন মরিয়া সব ক’টি রাজনৈতিক দল।

বর্ধমান জেলায় ৩টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান দুর্গাপুর আসনে ভোট হবে ৩০ এপ্রিল। প্রচারের শুরুতে বিভিন্ন পরীক্ষা থাকার কারণে রাজনৈতিক দলগুলি প্রচারে মাইক বাজানোর অনুমতি পায়নি। ফলে সেই সময়ে হয়েছে মূলত কর্মিসভা, মিছিল, রোড-শো। মার্চের শেষ দিকেই পরীক্ষা শেষ। মাইক বাজানোর উপরে নিষেধাজ্ঞাও উঠে গিয়েছে। তাই এই সময়ে ভোটারদের কাছে যতটা সম্ভব বেশি পৌঁছতে চাইছেন প্রার্থীরা। শেষ বেলার প্রচারে আস্তিন গুটিয়ে আঁক কষছে সবাই।

দিন কয়েক আগেই বর্ধমানের গ্রামীণ এলাকায় তিনটি সভা করে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক দিন জামালপুরে, অন্য দিন মঙ্গলকোটের নতুনহাট ও মেমারির সাতগেছিয়ায় সভা করেন তিনি। তারও আগে জেলার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে এক দিনে তিনটি সভা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দশ দিনের মধ্যে জেলার গ্রামীণ এলাকায় ফের প্রচারে আসতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোড়াফুল শিবিরের হয়ে বাংলার কয়েক জন অভিনেতা-অভিনেত্রীরও প্রচারে আসার কথা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিনবত্ব আনতে আনা হবে বাউল, ভাদু, টুসু শিল্পীদের। থাকার কথা বাংলা যাত্রা জগতের কয়েক জন কলাকুশলীরও।

জেলা তৃণমূলের এক নেতা জানান, ২৩ এপ্রিল কালনার অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে আসার কথা অভিনেতা তথা তৃণমূলের হয়ে সদ্য রাজ্যসভার সাংসদ হওয়া মিঠুন চক্রবর্তী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের। ২৪ এপ্রিল পূর্বস্থলী ১ ব্লকের সমুদ্রগড় রেল বাজারের মাঠে সভা করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সভার জন্য প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়েছে।

বর্ধমান জেলা (গ্রামীণ) তৃণমূলের সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, “দলনেত্রীর ওই সভায় মঞ্চে তিনটি স্তর রাখার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। তার মধ্যে একটি মঞ্চে থাকার কথা ৫০ জন বাউলের।” জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “আমাদের আস্তিনের নীচে আরও কিছু চমক রয়েছে। সেগুলি ক্রমশ প্রকাশ্য। এর সঙ্গে অন্য দলগুলির প্রচারের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।”

ভোট প্রচারে পিছিয়ে নেই বিজেপি। তারা বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে তারকাদের নামানোর পরিকল্পনা করেছে। জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় ও শ্রীরামপুর কেন্দ্রের প্রার্থী বাপ্পি লাহিড়ি বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের প্রার্থী সন্তোষ রায়ের সমর্থনে প্রচার করবেন বলে ঠিক হয়েছে। প্রচারে বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজকে চেয়ে বিজেপির বর্ধমান জেলা নেতৃত্ব চিঠি দিয়েছে দলের রাজ্য কমিটির কাছে। বর্ধমান জেলা সভাপতি রাজীব ভৌমিক বলেন, “বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি বিধানসভা রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য সাতটি এলাকাতেই একটি করে বড় মুখকে নিয়ে এসে প্রচার করানো।”

বর্ধমান-পূর্বের সিপিএম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র দাস মঙ্গলবার সকালে ভাগীরথীতে নৌকায় চালানো চালান। ১৮ এপ্রিল, শুক্রবার কালনা শহরের অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়াম ও মেমারির সাতগাছিয়ায় সিপিএম নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের দু’টি সভা করার কথা রয়েছে। সিপিএমের পূর্বস্থলী জোনাল কমিটির সম্পাদক সুব্রত ভাওয়াল বলেন, “পূর্বস্থলী মাঠের সভায় থাকতে পারেন বৃন্দা কারাত।” কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ এপ্রিল মুর্শিদাবাদে ভোট মেটার পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ অধীর চৌধুরী বর্ধমানে প্রচারে আসতে পারেন।

শেষ বেলার বিভিন্ন দলের প্রচার নিয়ে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। কালনা মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারে কত টাকা খরচ হচ্ছে, তার হিসেব রাখা হচ্ছে। কালনার মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী এক জন প্রার্থীর প্রচারের জন্য সর্বোচ্চ ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করা যেতে পারে। যদি কোনও দলের প্রার্থীর প্রচারের খরচ তার থেকে বেশি হয়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

lok sabha election kedarnath bhattacharya kalna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy