Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রতি বাড়িতে জল পৌঁছে দিতে প্রকল্প

ভাগীরথীর জলকে দূষণমুক্ত করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিল কালনা পুরসভা। শনিবার শহরের পুরশ্রী মঞ্চে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কালনা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়াল মিশনের অন্তর্গত ওই প্রকল্পে খরচ হবে ৩৯ কোটি ৬৫ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা। ২০১৬-র জুন থেকে শহরবাসী প্রকল্পটির সুবিধে পাবেন। রবিবার থেকে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও পুরসভার দাবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৪ ০১:৪৩
Share: Save:

ভাগীরথীর জলকে দূষণমুক্ত করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিল কালনা পুরসভা। শনিবার শহরের পুরশ্রী মঞ্চে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কালনা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়াল মিশনের অন্তর্গত ওই প্রকল্পে খরচ হবে ৩৯ কোটি ৬৫ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা। ২০১৬-র জুন থেকে শহরবাসী প্রকল্পটির সুবিধে পাবেন। রবিবার থেকে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও পুরসভার দাবি।

আপাতত কালনায় ২৭টি পাম্পের মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছে দেয় পুরসভা। পুরসভার দাবি, প্রতি মাসেই মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। পাম্প চালাতে প্রচুর কর্মীও প্রয়োজন হয়। তার উপর গরমে জলস্তর নেমে যাওয়ায় পাম্পের পাইপ গভীরে না পৌঁছনোয় পর্যাপ্ত জল পাওয়াটাই মুশকিল হয়ে পড়ে। সমস্যা মেটাতে ভাগীরথীর জল দূষণমুক্ত করে বিলি করার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। সেই মতো পরিকল্পনাও জমা দেওয়া হয়। ঠিক হয়, শহরের খেয়াঘাট এলাকা থেকে জল নিয়ে কাজ চালানো হবে। খেয়াঘাটে সারা বছর কেমন জল থাকে তা পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেয় পোর্ট টাস্ট কর্তৃপক্ষ। পুরসভার দাবি, ওই প্রকল্পে ভাসমান জেটি তৈরি করে যন্ত্রের মাধ্যমে জল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে পাঠানো হবে। সেখান থেকে বিশুদ্ধ জল পৌঁছবে লক্ষ্মণপাড়া ও নিমতলা এলাকার দুটি জলাধারে। লক্ষ্মণপাড়ার জলাধারে ১০ লক্ষ ৬ হাজার লিটার ও নিমতলার জলাধারে ৯ লক্ষ ৭০ হাজার লিটার জল ধরবে। সেখান থেকে মাটির তলার পাইপলাইন দিয়ে জল পৌঁছে যাবে শহরের সর্বত্র। পুরসভার জল ও আলো বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর আনন্দ দত্ত বলেন, “হরিজনপট্টি এলাকায় ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি হবে। প্রকল্পটি চালু হলে জল নিয়ে আর কোনও অভিযোগ থাকবে না পুরবাসীর।”

শনিবার সন্ধ্যার ওই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “নতুন ভাবে প্রকল্পটি তৈরি করার জন্য তিনটি জেটি-সহ আরও কিছু জিনিসপত্র প্রয়োজন। প্রয়োজন ১২ কোটি টাকার। সেই টাকা আমরা দিয়েছি। সরকার প্রথম থেকেই পানীয় জলের সমস্যায় আলাদা নজর দিয়েছে। এ ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হবে না।” কথার মাঝেই তাঁর নজরে পড়ে পুরশ্রী মঞ্চে কোনও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র নেই। মন্ত্রী বলেন, “পুরপ্রধানকে বলে যাচ্ছি এই হলটিতে কতগুলি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র দরকার তার পরিকল্পনা করে পাঠাতে। দ্রুত তা অনুমোদন করে দেওয়া হবে।”কালনার বিধায়ক তথা পুরপ্রধান বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বলেন, “আশা করি জল নিয়ে মানুষের আর কোনও ক্ষোভ থাকবে না।” তিনি জানান, মাথাপিছু প্রতিদিন ১৩৫ লিটার জল দেওয়া হবে। তারপরে অতিরিক্ত জল ব্যবহার করলে তার দাম দিতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকের বাড়িতে জলমাপার যন্ত্র থাকবে। অনুষ্ঠানে রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও জেলা পরিষদের সভাধিপতিও হাজির ছিলেন। এ দিন শহরে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লির শিলান্যাসও হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE