জামালপুরের স্কুলপড়ুয়াদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা তছরুপের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক জেল-হাজতে। ফলে ফর্ম পূরণ করতে পারছেন না উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীরা। জামালপুরের পাঁচরা সাগরচন্দ্র রক্ষিত স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের ওই পড়ুয়াদের অভিযোগ, স্কুলের পরীক্ষার নম্বরের তালিকা এবং প্রধান শিক্ষকের আলমারির চাবি না পাওয়ায় সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ফর্ম পূরণ করতে পারছেন না তাঁরা। শুক্রবার এ নিয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) দফতরের সামনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। তবে ভারপ্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক চিনু ঝাঁর দাবি, “এই পদে আমি নতুন এসেছি। সবে তিন দিন হল কাজে যোগ দিয়েছি। তাই আমি ওই ছাত্রছাত্রীদের বলেছি লিখিত ভাবে তাদের সমস্যার কথা আমাকে জানাতে। লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে সমস্যার সমাধান করা হবে।”
এ দিন দুপুরে একটি বড় বাসে করে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে স্কুল পরিদর্শকের অফিসের সামনে জড়ো হন অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা তছরুপের অভিযোগে জেলে যাওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিকের ফর্ম পূরণ থমকে রয়েছে। কারণ পূরণ করা ফর্মের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের নানা বিষয়ে পাওয়া নম্বরও উচ্চমাধিক সংসদে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ধরা পড়ার আগে ওই নম্বর সংক্রান্ত নথিপত্র তালাবন্ধ করে নিজের আলমারিতে রেখেছিলেন। সেই আলমারির চাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে না থাকায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
এ দিন স্কুল পরিদর্শকের দফতরে এসেছিলেন ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক শঙ্কর মল্লিক। তিনি বলেন, “স্কুলে পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করা নিয়ে তীব্র সমস্যা দেখা দিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকের ফর্ম পূরণের কাজ শুরু হয়েছিল ডিসেম্বরের ১১ তারিখ। ২৪ ডিসেম্বর তার সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়েছে। অথচ আমরা এখনও সেই প্রক্রিয়া শেষ করতে পারিনি।” তিনি আরও বলেন, “প্রধান শিক্ষক ১০ ডিসেম্বর গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি ওই চাবিটি থানায় জমা দিয়ে দিয়েছিলেন বলেই শুনেছি। কিন্তু পুলিশ বলছে, ওই চাবি স্কুল পরিদর্শক দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। সমস্যার কথা জানানোয় আগের স্কুল পরিদর্শক তাঁর এক প্রতিনিধিকেও পাঠিয়েছিলেন। তিনি একটি আলমারির চাবি নিয়েও যান। তা খুলে কিছু ফর্ম পূরণ করা হয়েছে। কিন্তু স্কুলের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার নম্বর ছাড়া তা অসম্পূর্ণ। ফলে আমরা একবার থানা আর একবার স্কুল পরিদর্শকের দফতরে ঘুরে বেড়াচ্ছি।” তাঁর দাবি, দ্রুত জমা থাকা সমস্ত চাবি নিয়ে গিয়ে পরীক্ষার নম্বর বের করা হোক। তারপরে ফর্ম পূরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হোক।
তবে স্কুল পরিদর্শকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারির ৫ তারিখের মধ্যে লেট ফাইন দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফর্ম পূরণ করার নিয়ম রয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy