Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিকেল থেকে রাস্তায় ঢল, লম্বা লাইন মণ্ডপে

রোদ-বৃষ্টির চাপানউতোরের মাঝেও রাস্তায় অগণিত মাথার ভিড়। আজ, বুধবার মহাসপ্তমী। শিল্পাঞ্চলে অবশ্য পুজো কার্যত শুরু হয়ে গিয়েছে চতুর্থীর রাত থেকেই। বড় পুজোর উদ্যোক্তারা আয়োজন সব পাকা করে ফেলেছেন তার মধ্যেই। আর ফাঁকায় ফাঁকায় ঠাকুর দেখে নেওয়ার মতলবে বহু মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ায় মণ্ডপগুলি সে দিন থেকেই জমজমাট।

পুজোর পথে। নিজস্ব চিত্র।

পুজোর পথে। নিজস্ব চিত্র।

সুশান্ত বণিক
আসানসোল শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২০
Share: Save:

রোদ-বৃষ্টির চাপানউতোরের মাঝেও রাস্তায় অগণিত মাথার ভিড়।

আজ, বুধবার মহাসপ্তমী। শিল্পাঞ্চলে অবশ্য পুজো কার্যত শুরু হয়ে গিয়েছে চতুর্থীর রাত থেকেই। বড় পুজোর উদ্যোক্তারা আয়োজন সব পাকা করে ফেলেছেন তার মধ্যেই। আর ফাঁকায় ফাঁকায় ঠাকুর দেখে নেওয়ার মতলবে বহু মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ায় মণ্ডপগুলি সে দিন থেকেই জমজমাট। পঞ্চমীর রাতে উপচে পড়া ভিড় মণ্ডপে। ষষ্ঠীর সন্ধ্যা থেকেও রাস্তায় ঢল। জনপ্রিয়তার নিরিখে কোন পুজো সেরা সেই প্রতিযোগিতাও শুরু হয়ে গিয়েছে মণ্ডপে-মণ্ডপে।

বোধনের আগে প্রতিমার মুখ সাদা বা লাল কাপড়ে ঢেকে রাখার চল এখন অনেকটা কমেছে। চতুর্থী থেকেই অনেক উদ্যোক্তা মণ্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেন। আসানসোল শিল্পাঞ্চলে এ বার সে দিনই কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেন এলাকার সাংসদ তথা সঙ্গীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের এক পুজো কমিটির কর্তার কথায়, “বাবুল উদ্বোধন করে যাওয়ার পরে কি আর মণ্ডপ বন্ধ রাখা শোভা পায়?” পঞ্চমীর সন্ধ্যায় আবার বেশ কিছু পুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিধায়ক মলয় ঘটক। সেই উদ্বোধনের পরেই মণ্ডপগুলিতে দর্শনার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে।

তবে মহাষষ্ঠীর বিকেলে দেখা গিয়েছে, কিছু পুজো মণ্ডপে তখনও কাজ চলছে। গত কয়েক বছর ধরে এই শিল্পাঞ্চলেও নানা পুজোর মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়। পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে নানা সংগঠন সেরা পুজো বাছার ব্যবস্থা করে থাকে। সে জন্য শেষবেলাতেও মণ্ডপ আরও সুন্দর করার তাগিদ দেখা যাচ্ছে পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে। বার্নপুর রোডে পুজো মণ্ডপে লম্বা লাইন ষষ্ঠীর বিকেল থেকে। খনির পুজোও বাদ যাচ্ছে না। এ বার ধেমোমেন, চিনাকুড়ি, বনজেমাহারিতেও দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়েছে। চিত্তরঞ্জনেও নানা পুজোয় এ বার পঞ্চমীর বিকেল থেকে দর্শনার্থীদের আনাগোনা।

পুজোর সময় অশান্তি ও দুষ্কর্ম এড়াতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, আসানসোলে ৫০টি অতিরিক্ত পুলিশের বুথ তৈরি করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় চেক পোস্ট রাখা হয়েছে। যান নিয়ন্ত্রণের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। পুলিশ কমিশনার জানান, এডিসিপি পদমর্যাদার আধিকারিকেরা নিয়মিত পুজো মণ্ডপগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খেয়াল রাখবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

susanta banik pujo asansol
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE