Advertisement
E-Paper

বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, বাহিনী নিয়ে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা

পাহাড় জমছিল অভিযোগের। কোথাও বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এজেন্টকে। কোথাও বুথের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না সিপিএম কর্মীকে। কোনও জায়গায় আবার তৃণমূল নেতাদের নজরদারিতে ভোট চলছে। গলসি, ভাতার, মন্তেশ্বর, বর্ধমান উত্তর, দুর্গাপুর, সব জায়গা থেকে একের পর এক নালিশ জানিয়েও ফল মেলেনিএই অভিযোগে বুধবার শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের অফিসের সামনে ধর্নায় বসল সিপিএম। ঘণ্টাখানেক পরে অবশ্য তা উঠে যায়। বর্ধমান-দুর্গাপুরে সিপিএম প্রার্থী সাইদুল হক বলেন, “নির্বাচন কমিশন তালিকা দিতে বলেছে, কোন কোন বুথে আমরা নতুন করে নির্বাচন চাই। তাই ধর্না তুলে নিয়েছি।”

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৪ ০১:৪২

পাহাড় জমছিল অভিযোগের। কোথাও বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এজেন্টকে। কোথাও বুথের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না সিপিএম কর্মীকে। কোনও জায়গায় আবার তৃণমূল নেতাদের নজরদারিতে ভোট চলছে। গলসি, ভাতার, মন্তেশ্বর, বর্ধমান উত্তর, দুর্গাপুর, সব জায়গা থেকে একের পর এক নালিশ জানিয়েও ফল মেলেনিএই অভিযোগে বুধবার শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের অফিসের সামনে ধর্নায় বসল সিপিএম। ঘণ্টাখানেক পরে অবশ্য তা উঠে যায়। বর্ধমান-দুর্গাপুরে সিপিএম প্রার্থী সাইদুল হক বলেন, “নির্বাচন কমিশন তালিকা দিতে বলেছে, কোন কোন বুথে আমরা নতুন করে নির্বাচন চাই। তাই ধর্না তুলে নিয়েছি।”

সকালেই অভিযোগ ওঠে, সিপিএমের প্রবীণ নেতা অধিক্রম সান্যাল প্রহৃত হয়েছেন। তার পরেই খবর আসে, বাবুরবাগ সিএমএস স্কুল থেকে সিপিএমের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে মেরেধরে। সেখানে গিয়ে অবশ্য দেখা যায়, নিরুপম সেনের আত্মীয়া কৃষ্ণকলি বন্দোপাধ্যায় বসে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। তাঁর দাবি, “ওরা ভয় দেখিয়েছে। তবে আমি সরিনি।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ বসির আহমেদ অবশ্য বলেন, “সিপিএম হারার ভয়ে বাজে কথা বলছে।”

গোলাহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সিপিএম-তৃণমূলের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন মোট ১০ জন। হাটগোবিন্দপুরে কয়েক দিন আগেই খুন হয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা অমিতাভ পাঁজা। গ্রামের বাসিন্দা মানিক নায়েক দাবি করেন, “অমিতাভবাবুর খুন হওয়ার পরে গ্রামে এখনও একটা আতঙ্ক রয়েছে।” ভাতারের খুরুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে সিপিএম-তৃণমূলের মধ্যে ভোট শুরু হওয়ার আগেই সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বনমালী হাজরার দাবি, “এই সংঘর্ষে আমাদের মোট ১২ জন আহত হয়ে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। কিছু বাড়িও ভাঙচুর করেছে সিপিএমের লোকেরা।” সিপিএমের যদিও দাবি, ওখানে তৃণমূলই গোলমাল পাকিয়েছে। এ দিন কালনার বেগপুর ও সুলতানপুর পঞ্চায়েতের বেশির ভাগ বুথে সিপিএম এজেন্টদের দেখা মেলেনি। বুথ দখলের অভিযোগ করেছে সিপিএম। ভোট চলাকালীন বাঘনাপাড়া পঞ্চায়েতের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু অভিযোগ করেন, সিপিএম তাঁদের এক কর্মীকে আটকে রেখেছিল। খবর পেয়ে দলীয় কর্মীরা সেখানে গেলে তাঁদের উপরেও হামলা হয়। ৬ জন আহত হয়েছেন। তবে সিপিএমের দাবি, তৃণমূলই ওখানে অশান্তি ছড়িয়েছে। মন্তেশ্বর, পূর্বস্থলীতেও গোলমালের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের জেলা (গ্রামীণ) সভাপতি স্বপন দেবনাথ অভিযোগ করেন, কালনার আটঘোরিয়া গ্রামের একটি বুথে ভোট চলাকলীন প্রিসাইডিং অফিসার আদিবাসীদের ভাষায় কথা বলে তাদের প্রভাবিত করেছেন। মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ প্রিসাইডিং অফিসার বদলে দেন। সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অমল হালদারের অভিযোগ, “বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান দুর্গাপুর ও বোলপুর লোকসভার বর্ধমান জেলার এলাকায় তৃণমূল রিগিং চালিয়েছে। বহু বার বিভিন্ন পর্যবেক্ষককে ফোন করেও তা বন্ধ করা যায়নি। তবে মানুষ যেখানে ভোট দিতে পেরেছেন, আমরা উজাড় করে ভোট পেয়েছি। তাই আমরা দুই আসনেই জিতব।” কংগ্রেস নেতা কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচন কমিশন যে অবাধ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা প্রহসনে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বলতে কিছু ছিল না।” বিজেপি-র জেলা সভাপতি দেবীপ্রসাদ মল্লিকেরও বক্তব্য, “বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রায় ১০০ বুথ থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে তৃণমূলের লোকেরা।”

lok sabha vote cpm
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy