এক বিজেপি সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের নস্করবাঁধ এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, নস্করবাঁধ গ্রামের সৌমেন বাগদি নামে তাদের এক সমর্থককে তৃণমূলের লোকজন মারধর করেছে। আহত অবস্থায় সৌমেনবাবুকে প্রথমে মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন সকালে নস্করবাঁধ গ্রামের বাসিন্দা সৌমেন বাগদি একশো দিনের কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক তাঁকে কাজে যোগ দিতে বাধা দেয়। বিজেপির অভিযোগ, ওই তৃণমূল সমর্থকেরা বলতে থাকে, বিজেপির লোককে একশো দিনের কাজ করতে দেওয়া যাবে না। এর পরে দু’পক্ষই বচসায় জড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল সমর্থকরা সৌমেনবাবুর উপর চড়াও হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মানকর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নরেশ কোনার অভিযোগ করেন, রবিবার বিকালে ওই এলাকায় বিজেপি একটি বিজয় মিছিল বের করেছিল। সেখানে এলাকার প্রচুর মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগ দেয়। নরেশবাবু দাবি করেন, সেই মিছিলে এত বেশি সংখ্যক মানুষ দেখে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ কায়েম করার জন্য তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে বারবার এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। নরেশ কোনার বলেন, “নস্করবাঁধ এলাকায় সৌমেন বাগদির হাত ধরে বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সেই কারণে সৌমেনের উপর তৃণমূল হামলা চালিয়েছে।”
বুদবুদে এর আগেও বিজেপির সমর্থকদের উপর তৃণমূলের হামলার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, গত ২৫ মে বুদবুদের অ্যা মুনেশন রোডে তাদের একটি বৈঠক শুরু হওয়ার আগে তৃণমূল তাঁদের উপর হামলা চালায়। আহত হন ৬ জন। বিজেপি নেতা নরেশ কোনারের অভিযোগ, ওই হামলায় জড়িতদের এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। বিজেপির দাবি, পুলিশ তাদের অভিযোগে গুরুত্ব না দিয়ে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করছে। যদি এমন আচরণ চলতে থাকে তাহলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ মিথ্যা।
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল পরিচালিত গলসি ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় জানান, ওই গ্রামে পঞ্চায়েতের একটি কল বসানোকে কেন্দ্র করে একটা ঝামেলা হয়েছে। গ্রামের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে এই ঝামেলা হয়েছে। তার দাবি এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিজেপির তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন জনার্দনবাবু।