আগামী বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় সংসদের দলীয় দফতরে তৃণমূলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে ছিলেন, সদ্য ফিরেছেন।
দলীয় সূত্রের মতে, অভিষেক যে হেতু তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা, তাই তিনি সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এর মধ্যে অভিনবত্ব কিছু থাকার কথা নয়। কিন্তু যে প্রেক্ষাপটে তিনি বুধবার সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছেন, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূলের লোকসভার সংসারে অশান্তি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ক্ষোভ-বিক্ষোভ, পারস্পরিক দোষারোপ এবং কড়া কথার আদানপ্রদান ঘটেছে কেবল সংবিধান সদনে (পুরনো সংসদ ভবন), দলের দফতরের রুদ্ধ দরজার ভিতরে নয়। লোকসভা অধিবেশন চলাকালীনও প্রকাশ্যে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদদের।
এ বারের সংসদীয় অধিবেশনে অভিষেক এখনও পর্যন্ত থাকতে পারেননি। তৃণমূলের লোকসভার প্রাক্তন দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থতার জন্য এ বারের অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকবেন, সে কথা দলের তরফ থেকে স্পিকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরে অসুস্থতার কারণে সংসদে অনিয়মিত হতে থাকেন এই প্রবীণ সাংসদ। এর পরেই তাঁর জায়গায় অভিষেককে লোকসভার নেতা হিসেবে মনোনীত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যসভায় সোম এবং মঙ্গলবার রয়েছে নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আলোচনার বাকি পর্ব। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই দোলা সেন বলেছেন। দলের কৌশল, বাকি সময়ে আরও চার জনকে দিয়ে বলানো হবে, যাতে সমাজের বিভিন্ন অংশের কাছে বক্তব্য ও বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায়। স্থির রয়েছে, মমতা ঠাকুর বলবেন মতুয়া সম্প্রদায়কে নিয়ে বিজেপির বয়ানের প্রতিবাদে। রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনও বলবেন বলে খবর। তাঁর বক্তব্য, গত দশ বছরের সব ধরনের নির্বাচনে বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে গোহারান হারিয়েছে তৃণমূল। ফলে হারের ভয় থেকে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়ে সমালোচনা করছে না তাঁর দল। ডেরেক ও মমতা ঠাকুর ছাড়াও এ নিয়ে বলার কথা রয়েছে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাগরিকা ঘোষের। সেনায় বেঙ্গল রেজিমেন্টের দাবিও তুলবেন মমতা ঠাকুর।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)