পাহারা পুলিশের। —নিজস্ব চিত্র।
কার্যালয় নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর হল বারাবনির নুনি গ্রামে। বিজেপি তাদের একটি কার্যালয় দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে, মঙ্গলবার রাতে এই অভিযোগে সরব হয় তৃণমূল। বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভ শুরু হয় এলাকায়। পুলিশ ওই কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃণমূলের বারাবনি ব্লক কমিটির প্রাক্তন সভাপতি অমল রায় নিজের জমিতে প্রায় ছ’বছর আগে তৃণমূলের একটি অফিস গড়েছিলেন। তিনি ও তাঁর অনুগামীরা সেখানে বসেন। অমলবাবুর দাবি, বছর তিনেক ধরে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের বনিবনা হচ্ছে না। তাঁর কথায়, “আমি ঠিক করেছি বিজেপি-তে যোগ দেব। তাই আমার অফিসটি বিজেপি-র করে দেব বলে রং করছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, “পুলিশ অন্যায় ভাবে এখানে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। আমি আদালতের দ্বারস্থ হব।” কোনও রাজনৈতিক দলের কার্যালয় এই ভাবে রং করে অন্য দলের কার্যালয়ে বদলে দেওয়া যায় কি? অমলবাবুর দাবি, “যেখানে তৃণমূলের অফিস তৈরি করা হয়েছিল, সেটি আমার জমি। তার দলিলও আমার নামে আছে। অফিসটিও আমি পকেটের টাকা খরচ করে গড়েছি। তাই এই অফিস কোন দলের হবে, সে সিদ্ধান্ত আমিই নেব।”
এই দাবি অবশ্য মানতে নারাজ তৃণমূল। দলের বারাবনির নেতা পাপ্পু উপাধ্যায়ের দাবি, ওই জমিটি অমলবাবুর হলেও দলীয় অফিসটি তাঁরা সংগঠনের তরফে চাঁদা তুলে গড়েছেন। তাই সেটি দলের সম্পদ। এ ব্যাপারে তাঁরা আদালতে যাবেন বলেও পাপ্পুবাবুর দাবি। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের অভিযোগ, “প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অমলবাবু অনেক দিন থেকেই দলবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত। বছর তিনেক তাঁর সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। তিনি অন্যায় ভাবে আমাদের অফিস রং করছিলেন। পুলিশে অভিযোগ করেছি।”
বিজেপি-র আসানসোল মণ্ডলের সম্পাদক প্রশান্ত চক্রবর্তীর বক্তব্য, “অমল রায় আমাদের দলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত। আমরা কারও অফিস দখল করিনি।” পুলিশ জানায়, ওই অফিস নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এলাকার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, এই আশঙ্কায় সেটি বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতে পাঠানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy