অবশেষে জেলার চার পুরসভা এলাকার পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশিত হল সোমবার। হাঁফ ছেড়ে বাঁচল রাজনৈতিক দলগুলিও। কারণ তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত পুরভোটের প্রস্তুতি নিতে পারছিল না তারা।
মে মাসে কাটোয়া, কালনা, দাঁইহাট ও মেমারি পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। সব ঠিকঠাক থাকলে এপ্রিল-মে নাগাদই রাজ্যের ৯০টি পুরসভার সঙ্গে জেলাতেও পুরনির্বাচন হওয়ার কথা। সেই লক্ষ্যেই চলতি বছরের শুরু থেকে কোন ওয়ার্ডে মহিলাদের সংখ্যা বেশি, তফসিলি জাতি বা উপজাতির বাসিন্দা কোন ওয়ার্ডে কতজন, এ সমস্ত বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করে জেলা প্রশাসন। বাসিন্দাদের সংখ্যা বেড়ে গেলে নতুন ওয়ার্ডও তৈরি করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া ছাড়া বাকি তিনটে পুরসভাতে ওয়ার্ডের সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকছে। কাটোয়ায় একটি ওয়ার্ড বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২০টিতে। তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডটি সংরক্ষণের আওতায় পড়ে গিয়েছে। এ ছাড়া কাটোয়ার ১২ নম্বর ওয়ার্ডটি ভেঙে দুটি করা হয়েছে। স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকাটি ২০ নম্বর ওয়ার্ডে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। সাতটি ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। এর মধ্যে ১০ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তফসিলি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ডগুলি হল ৭ ও ১১। দাঁইহাটে ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটি ওয়ার্ডই তফসিলিদের জন্য সংরক্ষিত। জেলার চারটি পুরসভার মধ্যে একমাত্র তফসিলি উপজাতি প্রার্থী থাকবে মেমারির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। কালনার ১৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে তফসিলি সংরক্ষিত ৫টি, তার মধ্যে ২টি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। ৬টি আসন সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
তালিকা প্রকাশের পরে তৃণমূলের বর্ধমান গ্রামীণ সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, “তালিকার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছিলাম। এ বার ঝাঁপাব। কাটোয়া ও দাঁইহাটের দিকে আমাদের বিশেষ নজর থাকবে।” প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় নিজের গড় অটুট রাখার জন্য কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করতে শুরু করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “কাটোয়া ও দাঁইহাট দুটো পুরসভাতেই আমরা আলোচনা শুরু করে দিয়েছি।” বিজেপির বর্ধমান পূর্বের সভাপতি রাজীব ভৌমিক আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা প্রার্থী নির্বাচনের কাজে হাত দিয়েছেন। এই চার পুরসভার মধ্যে একমাত্র দাঁইহাটে সিপিএমের অস্তিত্ব রয়েছে। কংগ্রেস ও তৃণমূলের লড়াইয়ের ফাঁক গলে ফের দাঁইহাট পুরসভা ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা দেখছে তারাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy