বালি বোঝাই একটি লরি পুড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম হলেন লরির চালক। সোমবার গভীর রাতে আসানসোলের কালিপাহাড়ি এলাকা থেকে ওই লরিচালককে উদ্ধার করে পুলিশ আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি করে। কেন লরিতে আগুন লাগানো হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১২টা নাগাদ বালি বোঝাই লরিটি কালিপাহাড়ি থেকে আসানসোলের দিকে যাচ্ছিল। তখনই এই কাণ্ড ঘটে। ওই লরির চালক, উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার চাঁদাপাড়ার বাসিন্দা অমরেশ সাহা পুলিশকে জানান, তিনি টিরাট এলাকায় দামোদরের পাড় থেকে বালি বোঝাই করে আসানসোল হয়ে ২৪ পরগনায় ফিরছিলেন। কালিপাহাড়ি স্টেশন লাগোয়া রাস্তায় তাঁর গাড়ি আটকায় জনা তিনেক লোক। তারা প্রথমে চালকের কেবিনের দিকে পেট্রোল বোমা ছোড়ে। তাতে তিনি অগ্নিদগ্ধ হন। ইতিমধ্যে খালাসি নেমে পালিয়ে যায়। তিনি আহত অবস্থায় গাড়ি থেকে নামলে দুষ্কৃতীরা তাঁর পকেট থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে আরও একটি পেট্রোল বোমা গাড়িতে ছুড়ে তারা পালায়। লরিটি পুড়ে যায়। পরে টহলদার পুলিশ চালককে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে আসানসোল হাসপাতালে পাঠায়। কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল) শৌভনিক মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা তদন্ত শুরু করেছি। খালাসিরও খোঁজ চলছে।” কেন এই ভাবে লরির উপরে হামলা হল, তা এখনও পরিষ্কার নয় বলে জানায় পুলিশ।
মঙ্গলবার এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, কালিপাহাড়ির টিরাট এলাকায় একাধিক অবৈধ বালিঘাট আছে। প্রতি দিন সেখান থেকে বহু লরি বালি বোঝাই করে রাজ্যের নানা প্রান্তে যায়। বালিঘাটগুলি নিয়ন্ত্রণ করে মাফিয়ারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই মাফিয়ারা মাঝে-মাঝেই নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলে জড়ায়। ফলে, এলাকা অশান্ত হয়। আসানসোলের এক পুলিশ আধিকারিকের দাবি, এলাকার প্রভাবশালী লোকজন ওই ঘাটগুলি নিয়ন্ত্রণ করেন। তাই পুলিশও সব সময় সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। ওই অফিসারের অনুমান, বালি মাফিয়াদের অন্তর্কলহের জেরেও লরিতে আগুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
কঙ্কাল উদ্ধার। চুরুলিয়া লাগোয়া দিঘলি ডাম্পিং থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করল জামুড়িয়ার পুলিশ। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সেখান থেকে একটি মোটরবাইকও মিলেছে। ওই কঙ্কাল কার, তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হবে বলে জানায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy