শশীবালা সাহা উচ্চ বিদ্যালয়। —নিজস্ব চিত্র।
সর্বশিক্ষা অভিযানের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে উঠল প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার জেলা সর্বশিক্ষা মিশন কালনা থানায় শশীবালা সাহা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্নিগ্ধা মুখোপাধ্যায়ের নামে ওই অভিযোগ করে। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, ২৫ লক্ষ ৮২ হাজার ২১৭ টাকা টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ করা হয়েছে।
স্কুলের তৃণমূল পরিচালিত পরিচালন সমিতি প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, জেলাশাসক, মহকুমাশাসকের কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ করে। স্কুলের তরফে অর্থ সংক্রান্ত কোনও নথি দেওয়া হয় নি বলেও অভিযোগ পরিচালন সমিতির। এমনকী জানুয়ারি মাস নাগাদ স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের বেতন, মিড-ডে মিল, ম্যগাজিন সহ দশটি অ্যাকাউন্টের হদিশ দিলেও পরিচালন সমিতি জানতে পারে আরও তিনটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকেই শহরের একটি ব্যাঙ্ক থেকে পাঁচ বছরে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক চন্দন সরকারের দাবি, স্নিগ্ধাদেবী সহ আরও তিন জনের নামে ওই টাকা তোলা হয়েছে। তবে টাকা খরচের কোনও রসিদ মেলেনি।
অভিযোগ পেয়ে মহকুমাশাসক তদন্তের নির্দেশ দেন মহকুমা স্কুল পরিদর্শককে। মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ রিপোর্ট হাতে পেয়ে সেটি জেলায় পাঠান। সব্যসাচীবাবু বলেন, “টাকা খরচের বিষয়ে বেশকিছু অসঙ্গতি নজরে আসে।” পরিচালন সমিতির সম্পাদক চন্দনবাবু জানান, স্কুলে গিয়ে তদন্তকারীরা ২৭ জুলাই প্রধান শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ওই দিন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর থেকেই তিনি আর স্কুলে আসেন নি। প্রধান শিক্ষিকা অনুপস্থিত থাকায় সমস্যা দেখা দেয় স্কুল পরিচালনায়। তাই স্কুল পরিদর্শকের নির্দেশে ২৬ অগস্ট রূপসা ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব দেওয়া হয়। মহকুমা স্কুল পরিদর্শক উমাশঙ্কর কুমার জানান, ওই স্কুলে কোনও সহকারী প্রধান শিক্ষিকা না থাকাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েেছে ২০১৩ সালের ২৫ শে নভেম্বর বর্তমান পরিচালন সমিতি ক্ষমতায় আসে। কিন্তু যে সময়ে টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ, তখনও তৃণমূল পরিচালিত পরিচালন সমিতিই ছিল। তাই প্রশ্ন উঠছে, পুরনো বর্তমান পরিচালন সমিতি একা প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধেই কেন অভিযোগ দায়ের করল? যদিও তদন্তকারীদের দাবি, পুরনো পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে কোনও নথি না মেলায় অভিযোগ দায়ের করা হয় নি। বুধবার স্নিগ্ধাদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy