পরিদর্শন: নৌকায় উঠে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসক পীযূষ গোস্বামী ও উত্তর ব্যারাকপুরের চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ। বৃহস্পতিবার, নবাবগঞ্জ ঘাটে। নিজস্ব চিত্র
ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া ঘাটে দুর্ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন।
বুধবারই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এবং উল্টো পাড়ে হাওড়া, হুগলির ফেরি ঘাটগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখার বিষয়ে বৈঠক করেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ফেরিঘাটের জেটির অবস্থা দেখে পুরসভার সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জেটিগুলির সংস্কার হবে বলে জানান প্রশাসনের কর্তারা।
তেলেনিপাড়ার উল্টো দিকেই শ্যামনগর ঘাট। কিছুটা দূরে গাড়ুলিয়ায় কাঙালি ঘাট। এ দিন সকালে ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পীযূষ গোস্বামী উত্তর ব্যারাকপুর, গাড়ুলিয়া ও ভাটপাড়া চেয়ারম্যানদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট ফেরিঘাটগুলি সরেজমিন দেখেন ও ঘাটগুলির ছবি তোলেন। পীযূষবাবু বলেন, ‘‘তেলেনিপাড়া, শ্যামনগর ও কাঙালি ঘাটে জেটি বানানোর সিদ্ধান্ত পরিবহণ দফতর ইতিমধ্যে নিয়েছে। তার মধ্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটে গেল। অন্য ঘাটগুলিতেও কাজ শুরু হবে।’’
আরও পড়ুন: বাবা বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে, পুলিশকাকু বাঁচান
তেলেনিপাড়ার মতোই এখানে বড় ফেরিঘাটগুলি ছাড়া বাকি ঘাটগুলিতে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো দিয়েই নৌকোয় ওঠার ব্যবস্থা আছে। অধিকাংশ সাঁকোই নড়বড়ে।
ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিংহ বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতর এই ফেরিঘাটগুলির দায়িত্ব নেবে বলেছে। তার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু পুরসভার দায়িত্বে থাকলে আমরাই নিরাপত্তার দিকটায় জোর দিতে পারতাম।’’
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা গঙ্গায় ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে মোটরবোট নিয়ে দেহ উদ্ধারে চিরুনি তল্লাশি চালান। প্রবল স্রোত ছিল গঙ্গায়। দমকা হাওয়া আর ঢেউয়ের জন্য তল্লাশি চালানোয় অসুবিধা হচ্ছিল। সে কথা তাঁরা একাধিক বার জানাচ্ছিলেন প্রশাসনের কর্তাদের।
উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে নিখোঁজ দেহগুলি দূরে সরে যেতে থাকে।’’ তলিয়ে যাওয়া আরও দেহ শুক্রবারও মিলতে পারে বলে অনুমান তাঁদের।
দিনভর গঙ্গায় ভুটভুটিতে চেপে ঘাটগুলি দেখার পরে প্রশাসনিক বৈঠকে সেগুলি সারানো ও স্থায়ী জেটি তৈরির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপের কথা বলা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy