—প্রতীকী ছবি।
নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর ‘সবজান্তা’ মনোভাব পরিত্যাগ করতে চায় সিপিএম। ভোটে হারের পর্যালোচনা এ বার আর কমিটি স্তরে আটকে রাখতে চায় না আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদে এ বিষয়ে দলের অবস্থান জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
এত দিন পর্যন্ত নির্বাচনী পর্যালোচনা মূলত হত সিপিএমের কমিটি স্তরে। কখনও কখনও সমর্থকদেরও মতামত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ বারই প্রথম, বৃত্তকে আরও বড় করতে চাইছে তারা। সেলিম বলেছেন, ‘‘তিন ধাপে আমরা পর্যালোচনা করব। প্রথমে দলীয় সদস্যদের পর্যালোচনা। তার পর শোনা হবে কর্মী-সমর্থকদের মতামত। এবং যাঁরা সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন, হয়তো আমাদের ভোটও দেননি, কিন্তু নানা ভাবে দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন, সাহায্য করেছেন, তাঁদেরও মতামত শোনা হবে।’’ সেলিমের কথায়, ‘‘আমরাই সব জানি, অন্যেরা জানেন না, এমনটা যেন না হয়।’’
জেলা স্তরে পর্যালোচনা শুরু করেছে সিপিএম। নির্বাচনী পর্যালোচনা সুনির্দিষ্ট ভাবে করতে নির্দিষ্ট পয়েন্টে ফর্মও ছাপা হয়েছে দলের তরফে। ইতিমধ্যেই সিপিএম পলিটব্যুরোর বৈঠক হয়েছে। ১৯-২০ জুন রাজ্য কমিটির বৈঠক রয়েছে। ২৮-৩০ জুন সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক রয়েছে।
ইতিমধ্যেই সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, লোকসভা ভোটে দলের ফলাফলে তাঁরা হতাশ। বাংলার চেয়েও সিপিএমের হতাশা কেরলের ফলাফল নিয়ে। সরকারে থাকা সত্ত্বেও সেখানে একটির বেশি আসন পায়নি তারা। এ কে গোপালন ভবনের চিন্তা কেরলে বিজেপির মাথা তোলা এবং একটি লোকসভা আসন জিতে নেওয়া।
বাংলায় সিপিএম এ বারও শূন্যের গেরো কাটাতে পারেনি। তবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট প্রাথমিক ভাবে পর্যালোচনায় দেখেছে, যে যে আসনে দল লড়েছিল, সেই ২৩টির মধ্যে অন্তত ২০টি আসনে ২০২১ সালের তুলনায় সামান্য হলেও ভোট বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ, ২০০৬ সাল থেকে যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল, তা এবার অনেকাংশে ঠেকানো গিয়েছে। নতুন করে ক্ষয় হয়নি। বিবিধ সূচককে মাথায় রেখেই বৃত্ত বড় করতে চায় আলিমুদ্দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy