Advertisement
E-Paper

আরও সহিষ্ণু হতে হবে: নিগৃহীত চিকিৎসক

কুলতলির কাঁটামারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক বছর পঞ্চাশের সম্বিৎকুমার মুখোপাধ্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর। তখন তিনি জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত।

সমীরণ দাস

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯ ০৩:০০
সম্বিৎকুমার মুখোপাধ্যায়

সম্বিৎকুমার মুখোপাধ্যায়

রোগীর বাড়ির লোকজনের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন তিনি। আহত হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন বেশ কয়েক দিন। সেই অভিজ্ঞতার পরেও ডাক্তারবাবু বলছেন, ‘‘চিকিৎসক নিগ্রহ অপরাধ। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পিছনে চিকিৎসকদেরও একটা দায় থেকেই যায়।’’

কুলতলির কাঁটামারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক বছর পঞ্চাশের সম্বিৎকুমার মুখোপাধ্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর। তখন তিনি জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত। বছর সাতাশের এক তরুণী জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন সম্বিতের এক সহকর্মী। হাসপাতালে আনার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মারা যান ওই তরুণী। হাতের সামনে সম্বিৎকে পেয়ে চোটপাট শুরু করেন রোগীর বাড়ির লোকজন। শুরু হয় মারধর। কোমরে, ঘাড়ে গুরুতর চোট লাগে ওই চিকিৎসকের।

সেই অভিজ্ঞতার কথা না ভুললেও সম্বিৎ মনে করেন, চিকিৎসকদের গায়ে হাত তোলা হলেও এমন ঘটনায় চিকিৎসকেরা পুরোপুরি দায় এড়াতে পারেন না। সম্বিতের কথায়, ‘‘বেশির ভাগ চিকিৎসকই এখন অনেক বেশি পেশাদার হয়ে গিয়েছেন। সেবামূলক মানসিকতা অনেক সময়েই দেখা যায় না। রোগীর প্রতি মনোযোগ আগের থেকে অনেক কম। যার ফলে হয় তো ভুল হচ্ছে।’’

চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে সামিল হননি সম্বিৎ। রোগী দেখছেন নিয়ম মেনেই। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা চিকিৎসকদের মারছেন, তাঁদের ৭৫ শতাংশ দায় থাকলে ২৫ শতাংশ দায় চিকিৎসকদেরও নিতে হবে।’’

চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবি পুরোপুরি সমর্থন করেন সম্বিৎ। পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘‘এক হাতে কিন্তু তালি বাজে না। চিকিৎসকদের আরও সহিষ্ণু হতে হবে।’’

Doctor's Strike Doctor Patient Violence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy