এক শিক্ষায় পৃথক ফল বাঞ্ছনীয় নয় বলেই শিক্ষা শিবিরের অভিমত। সে-ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্যপুষ্ট এবং সরকার পোষিত প্রাক্-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ চালু করলে বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের কী হবে? বেসরকারি স্কুলগুলিও যদি একই ভাবে পড়াতে চায়, শিক্ষা দফতর তাদের সেই অনুমতি দেবে কি?
আজ, সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রাক্কালে এই সব প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছে। যে-হেতু পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাই কোনও কোনও ক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদেরও এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। শিক্ষা মহলের বক্তব্য, শিক্ষায় সাম্যের নীতি মানতে হলে বেসরকারি স্কুলেও পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনের অনুরূপ ব্যবস্থা দরকার।
প্রশ্ন আরও আছে। পাড়ায় শিক্ষালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন চালু হলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনা হবে কী ভাবে? তাদের কি সেই অনলাইন-পাঠই ভরসা? দশম ও দ্বাদশের পড়ুয়াদের শিয়রে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। কী ভাবে চলবে তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি?