মহারাষ্ট্রে কাজ করতে গিয়ে খুন বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁকে কুপিয়ে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে বস্তায় পুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল জলে। আবু বক্কর মণ্ডল (৩৩) নামে সেই পরিযায়ী শ্রমিকের কফিনবন্দি দেহ ফিরল গ্রামের বাড়িতে।
আবু বক্কর উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার রুদ্রপুরের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রে বেশ কয়েক বছর ধরে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। মূলত রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। সম্প্রতি আবু বক্কর থাকতেন মহারাষ্ট্রের ভাসি থানা এলাকার ওয়াসিগাঁওয়ে। তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও থাকতেন। গত রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই আবু বক্করের খোঁজ মিলছিল না। মোবাইলও বন্ধ ছিল। পরে ভাসি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। এর পর মঙ্গলবার বাড়ির অদূরে একটি ডোবা থেকে আবু বক্করের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
যুবকের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তা শনাক্ত করে তাঁর পরিবার। পরে ময়নাতদন্তও হয়। তার পরেই গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয় দেহ। বৃহস্পতিবার রাতে দেহ গ্রামে পৌঁছোতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন যুবকের মা-বাবা। পরে রাতেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
মা হামিদা বিবি বলেন, ‘‘দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। কী কারণে ওরা আমার ছেলেকে মারল? বিচার চাই।’’ আবু বক্করের জামাইবাবু শাহানুর গাজি বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন, পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর এ রকম অত্যাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুন। আর যাতে এ রকম ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করুন।’’
পরিবারের একটি সূত্রের দাবি, মহারাষ্ট্রে আর এক পরিযায়ী শ্রমিকের ‘কুনজর’ পড়েছিল আবু বক্করের স্ত্রীর উপর। বুঝতে পেরে আবু বক্কর তার প্রতিবাদ করেছিলেন। তার পরেই খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের স্ত্রী বর্তমানে মহারাষ্ট্রেই রয়েছেন বলে খবর পরিবার সূত্রে।