এক রাতে কি ফল বদলাতে পারে পঞ্চায়েত ভোটের—তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (কেষ্ট) এক মন্তব্যে তেমনই ধন্দে পড়েছেন বিরোধীরা।
বীরভূমে হাতেগোনা আসনে ভোট হলেও ভাল ফল করেছে বিজেপি। গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৭৯টি আসনের মধ্যে ৬৩টি আসনে জিতে দ্বিতীয় স্থানেও উঠে
এসেছে। ফলপ্রকাশের পরে বৃহস্পতিবার সিউড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে অনুব্রত বলেন, ‘‘রাত হতে দিন। কাল আবার দিনের বেলায় দেখবেন। অন্ধকার হলে এক জিনিস হয়, দিনের আলোয় আর এক জিনিস হয়।’’ এ মন্তব্যের অর্থ কি জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের রাত পোহালে তৃণমূল-শিবিরে দেখা যাবে? অনুব্রতর কথায়, ‘‘সেটা বলব না। ভাল লাগলে (ওঁরা) তৃণমূলে আসবেন।’’
বিপক্ষে প্রার্থী না থাকায় জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের একটিতেও ভোট হয়নি বীরভূমে। লড়াই হয়েছে মূলত রাজনগর, মহম্মদবাজার, ময়ূরেশ্বর ১ ও ২ ব্লকে। বিজেপি-র জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের কথায়, ‘‘সীমিত আসনে হলেও আমরা লড়ে জিতেছি। ‘উন্নয়ন’ টপকে এই জয় সহজ ছিল না। এর পরেও হুমকি বন্ধ হল না। আমরা প্রার্থীদের আগলে রাখার চেষ্টা করব এটুকু বলতে পারি।’’
আরও পড়ুন: গণনা চলছে, বুথে ঢুকে পড়ে মারা হল ছাপ্পা
বীরভূমে বিজেপি-র অ়ঞ্চলভিত্তিক অস্তিত্বের প্রমাণ আগেও মিলেছে। লোকসভার আগে পঞ্চায়েত ভোটের এই ফলে তাদের জমি শক্তি বলে ধারণা জেলা রাজনীতির গতিপ্রকৃতির নিয়মিত পর্যবেক্ষকদের। বিজেপি-র এই ‘উত্থান’-এর পিছনে শাসক দলের সাংগঠনিক ত্রুটির প্রসঙ্গ তোলেন অনুব্রত। বলেন, ‘‘বিজেপি দু’-একটা আসন পেয়েছে আমাদের ভুলে। এ নিয়ে দলের রিপোর্টও এসেছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে রোখা যাবে না। লোকসভাতেও দেখাব। সেখানে উন্নয়নের জয় হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy