প্রতীকী ছবি।
ঘাসফুল নয়, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের মাটির দেওয়ালে আঁকা বট গাছ! পাশে জ্বলজ্বল করছে নির্দল প্রার্থীর নামও।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, নারায়ণগড় ব্লকের হেমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর বুথের তৃণমূল সভাপতি আশিস ঘোষের মদতেই না কি এমন কাণ্ড! অভিযোগ কি সত্যি? আশিসবাবুর স্পষ্ট জবাব, ‘‘বুথ সভাপতি হয়েও প্রার্থী কে হবে তা আমি জানতে পারিনি। প্রথমে ঠিক হয়েছিল শিশিরকুমার দাস প্রার্থী হচ্ছেন। মনোনয়নও জমা দেন শিশির। শেষবেলায় কী ভাবে নিশিকান্ত দাস টিকিট পেলেন জানা নেই। তাই নির্দলের হয়েই লড়ছি।’’
আশিসবাবু জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সূর্যকান্ত অট্টের অনুগামী বলে পরিচিত। নিশিকান্ত পরিচিত ব্লক সভাপতি মিহির চন্দের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে। দুই গোষ্ঠীর কোন্দল দীর্ঘদিনের। শেষ পর্যন্ত দলের প্রতীক পান নিশিকান্ত। আর শিশির হন নির্দল প্রার্থী। দলের বুথ কার্যালয়ের দেওয়ালে তাঁর নামের উপর লেখা— ‘তৃণমূল সমর্থিত নির্দল প্রার্থী’।
শিশিরবাবুর বক্তব্য, ‘রাজনীতির মারপ্যাঁচে টিকিট পাইনি। তবে প্রচারে নিজেকে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীই বলব।’’ আর ঘাসফুলের প্রার্থী নিশিকান্ত বলেন, ‘‘দলের নির্দেশ মতোই প্রচার করছি। নির্দল হিসেবে যিনি লড়ছেন, তিনিও তো তৃণমূল।’’
ঘটনার দায় এড়িয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মিহিরবাবু বলেন, ‘‘সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব। এতে আমার দায় নেই।’’
এই আসনে বিরোধী কোনও প্রার্থী নেই। লড়াই এ বার তাই ঘরেই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy