Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
State News

মৃতদেহ লোপাটের অভিযোগ, অবরোধ

মহম্মদ আলি পার্কের পিছনে পুলিশ মর্গের সামনে এক দফা বাম বিক্ষোভ হয়েছিল বুধবার রাতে। কাকদ্বীপের নিহত দম্পতির দেহ সে-দিন পরিবারের হাতে দেওয়া হয়নি। সেই জোড়া মৃতদেহ লোপাটের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার দুপুরে মহাত্মা গাঁধী এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের মোড় অবরোধ করে সিপিএম।

নেই প্রিজ়ন ভ্যান। তাই বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে তাতে তোলা হচ্ছে ধৃত বাম বিক্ষোভকারীদের। বৃহস্পতিবার মহাত্মা গাঁধী রোডে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

নেই প্রিজ়ন ভ্যান। তাই বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে তাতে তোলা হচ্ছে ধৃত বাম বিক্ষোভকারীদের। বৃহস্পতিবার মহাত্মা গাঁধী রোডে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৮ ০৪:০৮
Share: Save:

মহম্মদ আলি পার্কের পিছনে পুলিশ মর্গের সামনে এক দফা বাম বিক্ষোভ হয়েছিল বুধবার রাতে। কাকদ্বীপের নিহত দম্পতির দেহ সে-দিন পরিবারের হাতে দেওয়া হয়নি। সেই জোড়া মৃতদেহ লোপাটের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার দুপুরে মহাত্মা গাঁধী এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের মোড় অবরোধ করে সিপিএম।

শ্যামল চক্রবর্তী, সুজন চক্রবর্তী, নেপালদেব ভট্টাচার্য-সহ বেশ কিছু সিপিএম নেতা অবরোধে ছিলেন। মিনিট ২০ অবরোধ চলার পরে বিশাল পুলিশবাহিনী আসে এবং প্রায় সকলকেই গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায়।

সিপিএম নেতাদের দাবি, বুধবার রাতে পুলিশ বলেছিল, বৃহস্পতিবার সকালে ওখান থেকেই কাকদ্বীপের নিহত দুই সিপিএম-কর্মী দেবপ্রসাদ ও উষারানি দাসের দেহ নিতে হবে। কিন্তু নেতাদের অভিযোগ, রাতেই দেহ মর্গ থেকে বার করে নিয়েছে পুলিশ। দুপুরে সুজনবাবু বলেন, ‘‘দেহ কোথা থেকে নিতে হবে, সেই বিষয়ে কোনও তথ্যই দেয়নি পুলিশ। এ তো লাশের রাজনীতি চলছে!’’

এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ পুলিশ মর্গের সামনেই জড়ো হন সিপিএম নেতা-কর্মীরা। শুরু হয় অবরোধ। ট্র্যাফিক সার্জেন্ট লালবাজারকে খবর দেন। অবরোধে আটকে পড়া বাস খালি করে ধৃত সিপিএম নেতা-কর্মীদের তাতে তোলা হয়। ডিসি (ট্র্যাফিক) সুমিত কুমার বলেন, ‘‘অবরোধ চলে আধ ঘণ্টা। অল্প সময়ের জন্য যানজট তৈরি হয়।’’

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র পরে টুইট করে লাশ-রাজনীতির নিন্দা করেন। রবিবার কাকদ্বীপ অভিযানের ডাক দিয়েছেন তিনি। নিহত দম্পতির ছেলে দীপঙ্কর দাস এ দিনের কর্মসূচিতে ছিলেন না। বাবা-মায়ের দেহ ফেরত পেতে সকালেই আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের সাহায্যে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার অনুমতি চান তিনি। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী অনুমতি দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE