ভিন্ রাজ্যের বাহিনীর সংখ্যা নিয়ে হাইকোর্টে দেওয়া রাজ্যের দাবি মিলল না বাস্তবে। কোন রাজ্য থেকে কত পুলিশ আসছে, শুক্রবার তার হিসেব দেওয়া হয় নবান্ন থেকে। সেই হিসেব অনুযায়ী, আদালতকে দেওয়া সংখ্যার থেকে প্রায় ৭ কোম্পানি কম বাহিনী আসছে ভিন্ রাজ্য থেকে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চার কোম্পানি বাহিনী আসছে সিকিম থেকে। দুই কোম্পানি করে সশস্ত্র পুলিশ পাঠাচ্ছে তেলঙ্গানা এবং ওডিশা। ১০ কোম্পানি সশস্ত্র পুলিশ আসছে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। যদিও কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, ওডিশা, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং সিকিম সরকারের কাছে মোট ২৫ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার থেকে কম বাহিনী এল। এখনও পর্যন্ত স্থির রয়েছে, এই বাহিনীকে সরাসরি বুথে নয়, বরং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবহার করতে চাইছে প্রশাসন।
প্রশাসনের অনুমান ছিল, কলকাতা পুলিশ থেকে অন্তত ১২ হাজার পুলিশকর্মী পাওয়া যাবে। কিন্তু বাস্তবে ৯০০০ কর্মী বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন। কনস্টেবল ও হোমগার্ড ৭ হাজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর ১৫০০, সাব ইনস্পেক্টর ও সার্জেন্ট মিলিয়ে আরও ৫০০ জন। কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (৩) সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘‘আজ, শনিবার পুলিশকর্মীরা জেলার বিভিন্ন বুথে রওনা দেবেন।’’ পূর্ব বর্ধমান, হুগলি গ্রামীণ, হাওড়া গ্রামীণ, সুন্দরবন, বারুইপুর ও বারাসতে যাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এলাকায় থাকছে ৬৫টি বুথ ও ৩৯টি প্রেমিসেস।
সূত্রের দাবি, পরিস্থিতির প্রয়োজনে ভিজিল্যান্স এবং ইকনমিক অফেন্স উইং-সহ কয়েকটি বিভাগ থেকে নিরাপত্তার জন্য কর্মী নেওয়া হতে পারে। ৫০০ জন ইনস্পেক্টর, সাব ইনস্পেক্টর এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর মিলিয়ে ১০ হাজার, কনস্টেবল, হোমগার্ড এবং অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মী মিলিয়ে ৬১ হাজার— সব মিলিয়ে ৭১,৫০০ জনকে ভোট-নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা হবে। এ বারের ভোটে ব্যবহার করা হবে সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy