জখম: বিজেপি নেতা লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। —নিজস্ব চিত্র।
সকাল থেকে জড়ো হয়েছিল দু’পক্ষই। তবে গোলমাল ছিল না। দুর্গাপুরে মহকুমাশাসকের দফতরে শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রক্রিয়া চলছিল নিয়ম মেনেই। কিন্তু, পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি ঘটনাস্থলে পৌঁছোনোর পরেই তেতে উঠল এলাকা। ছুরির আঘাতে জখম হলেন বিজেপি-র পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। বিজেপি কর্মীদের মারধর করে মনোনয়নের নথিপত্র তছনছ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।
লক্ষ্মণবাবুর অভিযোগ, ‘‘সকাল থেকে গোলমাল ছিল না। জিতেন্দ্রবাবু এসে নির্দেশ দেওয়ার পরেই হামলা হয়।’’ অশান্তির পরে তড়িঘড়ি এলাকা ছাড়েন জিতেন্দ্রবাবু। হামলায় তাঁর কোনও ভূমিকা নেই দাবি করলেও প্রকাশ্যে জোড় হাতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি চলে যাচ্ছি।’’ বিজেপি-র অভিযোগ, পুলিশের সামনে গোটা ঘটনা ঘটলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক মোদী বলেন, ‘‘কী হয়েছে খোঁজ নিচ্ছি।’’
মহকুমাশাসকের অফিসের উল্টো দিকে গাছের তলায় টেবিল-চেয়ার পেতে মনোনয়নের ফর্ম পূরণ করছিলেন বিজেপি প্রার্থী ও তাঁদের প্রস্তাবকেরা। খানিক দূরে জটলা করছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। জিতেন্দ্রবাবু পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে ভিড় করেন কর্মীরা। অভিযোগ, তার পরেই হইহই করে বিজেপি-র লোকজনের দিকে তেড়ে যান তাঁরা। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন জিতেন্দ্রবাবু। চেয়ার-টেবিল উল্টে কাগজপত্র তছনছ করে দেওয়া হয়। এক বয়স্ক কর্মীকে মারধরও করা হয় বলে বিজেপি-র অভিযোগ।
এরই মধ্যে খানিক দূরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর বাঁ হাতে ছুরি মারে বলে বিজেপি-র জেলা সভাপতি লক্ষ্মণবাবু অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘জিতেন্দ্রবাবুর উস্কানিতেই এটা ঘটেছে।’’ একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসার পরে এ দিন বিকেলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদে আধ ঘণ্টা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। জিতেন্দ্রবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘হামলা হয়েছে কি না জানি না। নির্বাচনে বিরোধীদের স্বাগত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy