ফাইল চিত্র।
মনোনয়পত্র জমা দেওয়া নিয়ে গোলমাল চলছেই। এ বার প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে।
রবিবার রাতে সন্দেশখালির আতাপুরে জেলা পরিষদের ৪৭ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী পুষ্পিতা প্রামাণিকের বাড়িতে গিয়ে দুষ্কৃতীরা প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের ফতোয়া দিয়ে আসে। ওই প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর, লুঠপাটের পাশাপাশি এলাকার কিছু বাড়িতেও হামলা চালান হয়েছে।
হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা স্বপন দলুইয়ের দাবি, স্থানীয় বিডিওর দফতরে বিজেপি-র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। মনোনয়ন জমা দিয়ে রাস্তায় বের হতেই কয়েকজন তাঁকে ঘিরে ধরে। অবিলম্বে তাঁকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে বলা হয়। এর পর কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে তাঁকে কান ধরে ওঠবোস করানোও হয় বলে অভিযোগ। প্রার্থী হতে আসা আরও কয়েকজনকে দুষ্কৃতীদের সামনে পড়ে একই ভাবে কান ধরে ওঠবোস করতে হয়েছে। শনিবার বসিরহাট-১ ব্লকের বিডিওর দফতরে এক বিজেপি প্রার্থী ফর্ম তুলতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ব্লকের সামনে এক দুষ্কৃতী তাঁর গালে চড় মেরে প্রার্থী হওয়ার প্রয়োজনীয় নথি কেড়ে নিয়ে পালায়।
পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে বসিরহাট মহকুমার গ্রামে গ্রামে শুরু হয়েছে বাইকবাহিনীর দৌরাত্ম্য, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি, হুমকি, নিগ্রহ। শনিবার এক দল দুষ্কৃতী বসিরহাট মহকুমা আদালতের আইনজীবীদের ঘরে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল। ফের যাতে তেমন কোনও ঘটনা না ঘটে সে দিকে লক্ষ রাখতে রবিবার বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কে শবরি রাজকুমারের সঙ্গে আইনজীবীদের আলোচনা হয়।
বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে কোনও অবস্থাতেই মনোনয়ন জমা দিতে আসা প্রার্থীর সঙ্গে দু’জনের বেশি ব্যক্তিকে মহকুমা শাসকের দফতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। দফতরের সামনেও বাইরের কাউকে ঘেঁষতেও দেওয়া হবে না। পুলিশকর্তাদের একটি দল দফতরের সামনে থাকবে।
তবে এ সবের মধ্যে বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরে নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দিতে পেরে খুশি গোবিলা গ্রামের দুই কংগ্রেস প্রার্থী আনিসুর রহমান ও ইউসুফ মল্লিক। গত ক’দিন ধরে চেষ্টা করেও দুষ্কৃতীদের ভয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি তাঁরা। এ বার মহকুমা শাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে এসেছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy