Advertisement
E-Paper

পঞ্চায়েত ভোট পিছোচ্ছে, ফের মনোনয়ন নিতে হবে কমিশনকে

রাজ্যে পঞ্চায়েত মামলার খুঁটিনাটি দেখে নিন একনজরে

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:২৮
গ্রাফিক:শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক:শৌভিক দেবনাথ।

সিঙ্গল বেঞ্চে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন। পিছিয়ে গেল পঞ্চায়েত ভোট।

শুক্রবার পঞ্চায়েত মামলার চূড়ান্ত শুনানি পর্ব ছিল। ১০ এপ্রিল জারি করা কমিশনের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন বাড়ানোর নির্দেশ দিল আদালত। শুধু তাই নয়, কমিশনকে নতুন করে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে হবে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আদালত।

এর আগে আদালতে যা ঘটেছে

• ৯ এপ্রিল: রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত নির্বাচন কমিশনকে বিভিন্ন পক্ষ‌ের অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়।

• ৯ এপ্রিল: রাজ্য নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন পেশের জন্য সময়সীমা এক দিন অর্থাৎ ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ওই রাতেই তৃণমূলের তরফে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সরকারের তরফে এই বিজ্ঞপ্তিকে বেআইনি দাবি করে কমিশনে ইমেল করে তা বাতিলের কথা বলা হয়।

• ১০ এপ্রিল: কমিশন মেয়াদ বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে। বিজেপি হাইকোর্টে কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের সিঙ্গল বেঞ্চ কমিশনের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।

• ১১ এপ্রিল: বিজেপি ও বামফ্রন্ট সুপ্রিম কোর্টে যায় কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্ট মামলার দায়িত্ব দেয় হাইকোর্টকেই। উচ্চ আদালতকেই দায়িত্ব দেওয়া হয় সব পক্ষের বক্তব্য শুনে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার।

• ১২ এপ্রিল: বিচারপতি সুব্রত তালুকদার গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। বিজেপিকে তথ্য গোপনের অভিযোগে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন তিনি।

• ১৩ এপ্রিল: ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ডিভিশন বেঞ্চ কল্যাণের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে ১৬ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করে।

• ১৬ এপ্রিল: ডিভিশন বেঞ্চ ওই আপিল খারিজ করে সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানির জন্য তা ফেরত পাঠায়। সিঙ্গল বেঞ্চকে শীর্ষ আদালতের রায়কে মাথায় রেখে প্রয়োজনে প্রতি দিন শুনানি করে মামলার নিষ্পত্তি করতে বলে।

শুনানিতে কে কী বললেন:

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়: সাংবিধানিক বে়ঞ্চের রায়কে হাতিয়ার করে আাদালতের এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। তাঁর মতে, নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে কোনও আদালত সেই প্রক্রিয়াতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য: এর আগে একাধিক উদাহরণ আছে, যেখানে শীর্ষ আদালত বা বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্ট নির্বাচন প্রক্রিয়াতে হস্তক্ষেপ করেছে। যখন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে, তখন আদালত হস্তক্ষেপ করেছে। এ রাজ্যে কমিশন কার্যত তৃণমূলের পুতুল হিসেবে কাজ করছে।

সুব্রত তালুকদার: যদি নির্বাচন কমিশন ভুল করে তবে তাকে কে শুধরোবে? যদি আদালতের এক্তিয়ার না থাকে, তবে কী ভাবে শীর্ষ আদালত হাইকোর্টকে ক্ষমতা দিল এই মামলা শোনার?

West Bengal Panchayat Elections 2018 Calcutta High Court Panchayat Poll
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy