পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না সোমবারও। শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছিল, সোমবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। এ দিন বিকেলবেলা পর্যন্ত সেই বৈঠক করেনি কমিশন।
সূত্রের খবর, কাল বিকেলে বৈঠকে বসবে কমিশন ও রাজ্য সরকার। তবে, মঙ্গলবারও আদৌ কমিশন নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে পারবে কি না, সেই নিয়েও যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, সোমবার সকাল বেলায় বিজেপি-সহ সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কমিশনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার সেই মামলা শুনবেন মঙ্গলবার সকালে।
অন্যদিকে, ভাঙড়ের জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলাতেও মুখ পুড়েছে কমিশনের। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার কমিশনকে নিশ্চিত করতে বলেছিলেন, যাতে এই কমিটির ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। আদালতের সেই বিশেষ নির্দেশ সত্ত্বেও ওই ১১ জন তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন:
নির্লজ্জ বেলাগাম সন্ত্রাস, বোমা-বন্দুক হাতে ঝাঁপাল শাসক, নিহত ৩
দিকে দিকে তাণ্ডব, ক্যামেরা বন্দি কিছু সন্ত্রাসের মুহূর্ত
কমিটির অন্যতম নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরীর অভিযোগ, আলিপুর জেলাশাসক দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে শাসক দলের সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা তাঁদের হেনস্থা করে আটকে রাখে এবং মনোনয়নের সমস্ত নথি ছিঁড়ে ফেলে দেয়। কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকেরা ভালভাবেই জানেন, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও এদের মনোনয়ন জমা দেওয়া সুনিশ্চিত করতে না পারায়, মঙ্গলবার বিচারপতির তোপের মুখে পড়বেন তাঁরা। অন্যদিকে, দিনভর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে যে হিংসার ঘটনা ঘটল তাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে বিরোধীরা। সোমবারের সারাদিনের ছবি স্পষ্ট করে দিয়েছে, রবিবার রাতে কমিশন বিনা বাধায় মনোনয়ন জমা দেওয়া সুনিশ্চিত করার জন্য পুলিশকে যে চিঠি দিয়েছিল, তাতে আদৌ কাজ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে, বিরোধীদের মতো কমিশন এবং রাজ্য সরকারও হাইকোর্টের দিকেই তাকিয়ে। মঙ্গলবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার পঞ্চায়েত মামলা নিয়ে কোন পথে হাঁটেন তা দেখে তবেই বিকেলে ভোটের দিনক্ষণ স্থির করার পক্ষপাতী কমিশন ও রাজ্য সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy