এক কাঁধ থেকে ঝুলছে জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সম্মেলনের ব্যাগ। বাঁ-হাতে ধরা দু’টি বালিশ তৃণমূলের পতাকায় মোড়া।
এ ভাবেই শনিবার জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের দুই সদস্য সুনীল জীবরাজ সিংগি এবং ভাদা দস্তুরজি খুরশেদ দস্তুরের সঙ্গে দেখা করল সিউড়ির কড়িধ্যায় নিহত ‘তৃণমূল কর্মী’ দিলদার খানের পরিবার। সোমবার মনোনয়ন জমার অতিরিক্ত দিনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান দিলদার। তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেখা করতে এ দিন আসেন কমিশনের দুই সদস্য। দিলদারের বাবা–মা, স্ত্রী-মেয়ে সহ পরিজনেরাই অবশ্য তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চলে যান বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অতিথিশালায়। সেখানেই দিলদারের ভাই সামশেরের হাতে দেখা যায় ওই জোড়া-বালিশ।
বালিশ কেন দলীয় পতাকায় মোড়া, বোলপুরে সাংবাদিক বৈঠকে এ দিন তাঁর ব্যাখ্যা দিয়েছেন বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডল। তাঁর কথায়, ‘‘ওই বালিশ মাথায় দিয়েই তো ঘুমোত দিলদার! ওর গোটা শরীরটাও তৃণমূলের। দলও পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।’’
খুনের পরে দিলদার কোন দলের সমর্থক, তা নিয়ে হয় চাপানউতোর। বিজেপি প্রথমে দাবি করে, দিলদার তাদের সক্রিয় কর্মী। বিকেলে অনুব্রত দাবি করেন, দিলদার তৃণমূল করতেন। শুরুতে বিজেপির দাবিকে সমর্থন জানালেও পরে অনুব্রতের পাশে বসে তাঁর সুরেই সুর মেলান নিহতের বাবা। দিলদার খুনে পাঁচ বিজেপি কর্মী গ্রেফতারও হয়েছেন।
কমিশনের সদস্যদের কী কথা হল, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেনি দিলদারের পরিবার। কমিশনের সদস্যরা সিউড়ি ছাড়ার সময় হাতে প্ল্যাকার্ড ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের মহিলা সেল। তাদের বক্তব্য, এ রাজ্যে সুখেই রয়েছেন সংখ্যালঘুরা। তার পরেও রাজনীতি করতে আসা কেন? সুনীল সিংগি পরে বলেন, ‘‘দোষীরা ছাড় পাবে না। তবে ওই পরিবারের সদস্যরা খুলে কথা বলতে পারেননি। তাঁদের উপরে যে ধরনের চাপ রয়েছে, সেটা মোটেই ভাল নয়। আমরা কমিশনকে রিপোর্ট দেব।’’