প্রথম দিনেই রেকর্ড সংখ্যায় মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচিতে। শনিবার সন্ধ্যায় এই কর্মসূচির প্রথম দিন শেষ হতেই এমন দাবি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচির সমর্থনে বিবৃতি দিয়ে তৃণমূল জানিয়েছে, শনিবার থেকে রাজ্য জুড়ে মোট ৬৩২টি শিবির আয়োজিত হয়েছে। যেখানে প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরেও এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের ওই শিবিরে যোগ দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং মেয়র পারিষদ তথা স্থানীয় কাউন্সিলর অসীম বসু।
‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির প্রথম দিনেই অংশগ্রহণ করেন বহু মানুষ। ছবি: সংগৃহীত।
কর্মসূচির প্রথম দিনেই মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘বাংলার মানুষকে তৃণমূল স্তরে পরিষেবা প্রদানের জন্য আমাদের যে ধারাবাহিক উদ্যোগ, তাতে আজ একটি নতুন পালক যুক্ত হল। আজ আমরা ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ নামে আর একটি নতুন প্রকল্প চালু করলাম। এটা একটা অনন্য স্কিম। সারা দেশে এই রকম উদ্যোগ এই প্রথম। এই প্রকল্পে মানুষ নিজেদের বুথ এলাকার সমস্যাগুলো নিজেরাই চিহ্নিত করবেন, অগ্রাধিকার দিয়ে তালিকা তৈরি করবেন আর আমাদের সরকার সেই তালিকা মেনে কাজের রূপায়ণ করবে।’ তিনি আরএ লিখেছেন, ‘রাজ্য জুড়ে যে ৮০ হাজারের বেশি বুথ আছে, সব ক’টাতেই এটা হবে। ৩টে বুথ মিলে একটা ক্যাম্প হবে যেখানে সরকারি কর্মীরা এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনবেন।’ মমতা জানান, এ ভাবে মোট ২৭ হাজারেরও বেশি ক্যাম্প করা হবে। তাঁর লেখায়, ‘আমি বাংলার সকল মানুষকে অনুরোধ করব, আপনারা সবাই আপনাদের কাছের ক্যাম্পে যান এবং নিজেদের মতামত দিন। সরকারি আধিকারিকেরা আপনাদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত। আমি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সকল আধিকারিক-সহ সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আমি নিশ্চিত, সকলের সহযোগিতায় এই প্রকল্পও আমাদের অন্যান্য প্রকল্পের মতো চূড়ান্ত ভাবে সফল হবে।’
আরও পড়ুন:
তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের প্রতিটি বুথে বরাদ্দ ১০ লক্ষ টাকার ব্যয় কিসে হবে, তা ঠিক করবেন সাধারণ মানুষ। প্রথম ধাপে ২৭ হাজারেরও বেশি ‘জনতার দরবার’ শিবিরের মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। প্রত্যেক শিবিরে থাকছে সরকারী আধিকারিকদের উপস্থিতি, যাঁরা শংসাপত্র দিয়ে প্রকল্পে সিলমোহর দেবেন। একই সঙ্গে থাকছে ‘দুয়ারে সরকার’-এর পরিষেবাও, যেখানে নাগরিকেরা তাঁদের ব্যক্তিগত অভিযোগ ও সমস্যার প্রতিকার পেতে পারেন।