দেশের সব রাজ্যের সর্বশেষ এসআইআর (ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন) তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। যাতে সর্বভারতীয় স্তরে খুঁজে পাওয়া যায় যে কোনও ভোটারের সূত্র। এ বার এ রাজ্যে নতুন একটি নথি এসআইআর প্রক্রিয়ার তালিকাভুক্ত করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বলা হয়েছে, তালিকার ১৩তম নথি হিসেবে বিহারে সদ্য হওয়া এসআইআর-তালিকার তথ্যও দাখিল করা যাবে। বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য, যোগ্য কোনও ভোটার যাতে বাদ চলে না যান—তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।
ধরা যাক, এখানকার কোনও ভোটারের নাম ২০০২ সালের পশ্চিমবঙ্গ-এসআইআর তালিকায় নেই। অথচ তাঁর মা-বাবা অথবা কোনও নিকটাত্মীয়ের নাম রয়েছে বিহারের সদ্যসমাপ্ত এসআইআর তালিকায়। তাতে সূত্র প্রতিষ্ঠিত হবে সহজেই। কমিশন সূত্রের বক্তব্য, এ রাজ্যের বহু মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করতেই পারেন। ২০০২ সালের পরে তাঁরা বা তাঁদের সন্তানেরা এ রাজ্যে এসে ভোটার হয়ে থাকলে এখানকার শেষ এসআইআরে নাম না থাকাই স্বাভাবিক। অথচ হয়তো তার পর থেকে সংশ্লিষ্টরা এ রাজ্যের নানা ভোটে অংশ নিয়েছেন। এই ব্যবস্থায় তাঁদের সুবিধা হবে। এক কর্তার কথায়, “বিহারের শেষ এসআইআর তারিখ যেহেতু ১ জুলাই, তাই সেই নথিই গ্রহণযোগ্য হবে। তার আগের এসআইআর নথি গ্রাহ্য হবে না। আবার অন্য কোনও রাজ্যে যখন শেষ বার এসআইআর হয়েছিল, তখনকার সেই নথিও এখানে গ্রহণযোগ্য হবে।”
কমিশন জানিয়েছে, এই নথি ছাড়াও কেন্দ্র, রাজ্য বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিচয়পত্র-পেনশন নথি গ্রহণযোগ্য হবে। সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দেওয়া ১৯৮৭ সালে ১ জুলাইয়ের আগের নথি, শংসাপত্র, পরিচয়পত্র গ্রাহ্য। জন্মের শংসাপত্র, পাসপোর্ট, মাধ্যমিক বা স্বীকৃত বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া শিক্ষার শংসাপত্র জমা করা যাবে। স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র, বনের অধিকার, এসসি-এসটি-ওবিসি শংসাপত্র, এনআরসি (এ রাজ্যে নয়। যেখানে কার্যকর রয়েছে), সরকারি ভাবে পারিবারিক রেজিস্টার (যেখানে কার্যকর), সরকারি ভাবে দেওয়া জমি-বাড়ির শংসাপত্র, আধার কার্ড (পরিচয়পত্র হিসাবে) দাখিল করা যাবে। তবে এসআইআর-মিল যে ভোটারদের থাকবে না, এই নথি জমা দেওয়ার বিষয়টি শুধুমাত্র তাঁদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)