রবিবার উত্তর কলকাতায় গেরুয়া বাইক মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বুথ স্তরে সংগঠন মজবুত করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। এই কাজে দলের সব শাখা সংগঠনকেই কাজে লাগানোর উদ্যোগ গেরুয়া শিবিরের। দলের যুব শাখার উপরে প্রাথমিক দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঠিক হয়েছে চলতি মাস থেকেই তিন দফায় ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’ করবে যুব মোর্চা। তার আগে কলকাতা-সহ সব জেলা শহরে হবে মোর্চার বাইক মিছিল। কলকাতায় রবিবার হয় সেই মিছিল। যার পুরোভাগে ছিলেন মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল এবং উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ।
রবিবার উত্তর কলকাতার মিছিল শুরু হয় বাগবাজার থেকে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মিছিল শেষ হয় আমহার্স্ট স্ট্রিটে। এই মিছিল প্রসঙ্গে তমোঘ্ন বলেন, ‘‘সব জেলাতেই এই ধরনের কর্মসূচি হচ্ছে। লক্ষ্য একটাই, রাজ্যে যে অরাজকতা চলছে তার বিরোধিতা। রবিবারও তাপস মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছে। শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত প্রধানরা সবাই জেলের ভিতরে। এটা কোনও রাজ্যের স্বাভাবিক অবস্থা হতে পারে না। কারও হাতে কাজ নেই। আর বড় বড় কথা বলা হচ্ছে। এই সরকারের নিজের থেকেই সরে যাওয়া উচিত।’’
রবিবার কলকাতা ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় এই ধরনের কর্মসূচি নেয় বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃত্ব দেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। পুরুলিয়ায় ‘নীতি যাত্রা’ নাম দিয়ে মিছিল বের করেন স্থানীয় সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো। হুগলির মগরায় মিছিল হয় বিধায়ক বিমান ঘোষের নেতৃত্বে।
এই কর্মসূচি নিয়ে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘শহরে শহরে মিছিল হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে আরও হবে। এর পরে আমরা দু’হাজার গ্রামে যাব। মানুষের কাছে তুলে ধরবে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির কথা।’’ গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে ওই অভিযানের ব্লু প্রিন্ট অনুয়ায়ী যুব মোর্চা মোট ১৮০টি বিধানসভা এলাকার দু’হাজার গ্রামে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস জুড়ে ৩ দফায় হবে কর্মসূচি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy