নব্বইয়ের আগে নড়বেন না গুরুঙ্গ—পাহাড়ে পাকদণ্ডীতে পাক খাচ্ছে এমন কথা। মোর্চার কিছু নেতাই একান্তে বলছেন, বন্ধ ৯০ দিনে পড়লে তবেই তা তুলতে রাজি হবেন গুরুঙ্গ। আর তার পিছনে রয়েছে গুরুঙ্গের খুব বিশ্বাসভাজন কোনও এক ধর্মগুরুর নির্দেশ।
এই ধর্মগুরু কে, সে সম্বন্থে অবশ্য মুখে কুলুপ সকলেরই। প্রকাশ্যে সে কথা কেউই বলতে চান না। তবে মোর্চারই একটি সূত্র জানাচ্ছে, অনেক দিন ধরেই এই ‘বাবা’র সঙ্গে গুরুঙ্গের ভাল সম্পর্ক। মোর্চার কিছু নেতা জানাচ্ছেন, ‘বাবা’ তন্ত্রচর্চা করেন। সাধারণত নেপালের কাঠমান্ডুতে থাকেন। তবে দার্জিলিং পাহাড়ে তাঁর অনেক শিষ্য রয়েছেন। সেই কারণে তিনি কখনও কখনও কালিম্পঙেও এসে থাকেন। সেখানে যাগযজ্ঞ করেন।
গুরুঙ্গকে কাঠমান্ডু ও কালিম্পঙে তাঁর কাছে যেতে দেখেছেন অনেকে। গুরুঙ্গর ঘনিষ্ঠদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ‘বাবা’ই মোর্চা সভাপতিকে বলেছেন বন্ধ টানা ৯০ দিন ধরে চালিয়ে যেতে। তা হলেই গুরুঙ্গ আন্দোলনে সাফল্য পাবেন। তাই কারও কথাতেই নব্বইয়ের আগে গুরুঙ্গ বন্ধের সিদ্ধান্ত নড়চড় করতে রাজি হননি।