Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

রিজিজুকে বিল ধরাল না সার্কিট হাউস

নবান্ন তাঁদের খাতিরদারির খরচ দেবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। বীরভূম দেখল, অন্য ছবি।দলীয় কাজে সিউড়িতে আসা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর কাছ থেকে রবিবার ফেরার সময় থাকা-খাওয়া বাবদ টাকা নিল না বীরভূমের সার্কিট হাউস।

দয়াল সেনগুপ্ত
সিউড়ি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৪৩
Share: Save:

নবান্ন তাঁদের খাতিরদারির খরচ দেবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। বীরভূম দেখল, অন্য ছবি।

দলীয় কাজে সিউড়িতে আসা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর কাছ থেকে রবিবার ফেরার সময় থাকা-খাওয়া বাবদ টাকা নিল না বীরভূমের সার্কিট হাউস। তাঁরা বিল মেটাতে চাইলেও কর্তৃপক্ষ টাকা নিতে অস্বীকার করেন বলে বিজেপি-র জেলা নেতৃত্বের দাবি।

উত্তরপ্রদেশের পরে বিজেপি-র লক্ষ্য এ বার পশ্চিমবঙ্গ। তারই সূত্রে এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদকে এ রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি। নবান্ন অবশ্য জানিয়ে দিয়েছিল, মন্ত্রী বা সাংসদদের নিয়ম মেনে নিরাপত্তা ও গাড়ি দেওয়া হবে। সার্কিট হাউস বা সরকারি অতিথিশালায় তাঁদের থাকতেও বাধা নেই। কিন্তু, রাজ্যে তাঁদের
কোনও সরকারি কর্মসূচি না থাকায় থাকা-খাওয়া-সহ সরকারি আতিথেয়তাও নিখরচায় মিলবে না। তাঁদের খরচ বহনের দায়িত্ব বিজেপি-রই। কেউ তা না দিলে স্থানীয় প্রশাসন চেয়ে নেবে।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় সিউড়ির সার্কিট হাউসে পৌঁছন রিজিজু। দশ-বারো জনের দলটি উঠেছিল তিনটি ঘরে। নিরাপত্তা রক্ষীরা ছিলেন কিছুটা দূরে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অতিথিশালায়। সার্কিট হাউসে শনিবারের নৈশভোজ এবং রবিরার প্রাতঃরাশ ও মধ্যাহ্নভোজন সারেন মন্ত্রী ও তাঁর সঙ্গীরা। রবিবার দুপুরে তাঁরা সার্কিট হাউস ছাড়েন। বিজেপি-র জেলা সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডলের দাবি, ‘‘আমরা সব কিছুর খরচ মেটাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, কত বিল হয়েছে জানতে চাইলে সার্কিট হাউস কর্তৃপক্ষ আমাদের বিনয়ের সঙ্গে জানিয়ে দেন, টাকা লাগবে না। এমন ক্ষেত্রে বিল রাজ্য সরকারই বহন করে থাকে।’’

মন্ত্রীকে কেন বিল ধরানো হল না?

বারবার ফোন করলেও ধরেননি জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী। মেসেজের উত্তরও দেননি। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘এটা একেবারেই নবান্নের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে আমার কিছু বলা ঠিক হবে না।’’ তবে, জেলা প্রশাসনেরই এক কর্তার মত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে কাজেই আসুন না কেন, স্থানীয় প্রশাসনই যাবতীয় দায়িত্ব বহন করে। হঠাৎ করে সেই ‘প্রোটোকলে’র উল্টে আচরণ করাটা খুবই অস্বস্তিকর। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদাও বলছেন, ‘‘যে দলেরই হন না কেন, মন্ত্রী মন্ত্রীই। তাঁর নিরাপত্তা ও থাকা খাওয়ার দায়িত্ব রাজ্যেরই বহন করা উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE