তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুূব্রত মণ্ডল। ফাইল ছবি।
বীরভূমের মহম্মদবাজারের ডেউচা-পাঁচামি এলাকায় ইতিমধ্যেই কয়লাখনি করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেই মতো ইতিমধ্যে, প্যাকেজও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে জেলা প্রশাসন। তাতে সহায়তা করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
শুক্রবার বীরভূমের মহম্মদবাজারের সেওড়াকুড়ি এলাকায় একটি যোগদান মেলার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সভা থেকে অনুব্রত বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে ঠকান না, আর ঠকাবেনও না। এই মহম্মদবাজার, সোনার মহম্মদবাজার হবে।’’ তাঁর দাবি, কয়লা খনি হলে এক লক্ষের বেশি চাকরি হবে। পাশাপাশি অনুব্রতর সংযোজন, এক পরিবারে যদি তিন ভাই থাকে, তিন ভাই-ই বাড়ি পাবেন।
কয়েকদিন আগে আদিবাসী গাঁওতা নেতা তথা বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সুনীল সোরেন তৃণমূলে যোগ দেন। শুক্রবার সেই সুনীলের প্রশংসা শোনা যায় অনুব্রতর মুখে। মঞ্চে বক্তৃতা করতে উঠে বার বার সুনীলের সুনাম করেন অনুব্রত। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, কয়লা খাদান করার আগে আদিবাসী গাঁওতা নেতা সুনীলকে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল।
অনুব্রতর দাবি, প্রায় সাত হাজার মানুষ শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সকালে পাঁচামি এলাকায় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ নিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘‘২০১০ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেও এই মহম্মদবাজারের মানুষ আটকে দিয়েছিলেন। সিপিএম ৩৪ বছর কোনও কাজ করেনি। শুধু ভোট নিয়েছে। এখন মানুষের সামনে মুখ দেখাতে এলে তো এমন হবেই!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy