মহালয়া থেকে দেবীর বোধনের মধ্যে এক মাস ছ’দিনের ব্যবধান! এমন পরিস্থিতি অভূতপূর্ব না হলেও শেষ কবে ঘটেছিল, ভেবে পাচ্ছেন না প্রবীণ পুরোহিতেরা। তাই এ যাত্রা কিছু অন্য রকম দাবিও শোনা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার মহালয়ার সকালে আকাশবাণীর ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র অনুষ্ঠান পুনঃসম্প্রচারের দাবিতেও সরব পুরোহিত সমাজের একাংশ।
বঙ্গীয় পুরোহিত সম্মিলনীর তরফেই যেমন বলা হচ্ছে, এ বছর স্রেফ মহালয়ার দিনে ওই অনুষ্ঠান হলে চিঁড়ে ভিজবে না। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠ-উৎকর্ষে আকাশবাণীর ওই প্রাচীন অনুষ্ঠানই হল পুজোর আবাহন। তাই পুরোহিতদের অনেকের দাবি, এ বছর আশ্বিনের মল মাস পেরোলে পুজোর প্রাক্কালে মহিষাসুরমর্দিনী-র অনুষ্ঠান আবার সম্প্রচার করা হোক। আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ অবশ্য তাতে রাজি নন।
আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের প্রোগ্রাম হেড সুব্রত মজুমদার সোমবার বলেন, ‘‘দিল্লির সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। মহালয়ার দিনেই ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র ধ্রুপদী অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হবে। পুজো দেরিতে তো কী? এ বছরের পুজোর আগে আর তা দু’বার বাজবে না।’’ প্রবীণ পুরোহিত শম্ভুনাথ স্মৃতিতীর্থও বলছেন, ‘‘কিছু পরম্পরার সঙ্গে দিন-মাহাত্ম্য থাকে। সেই দিক থেকে মহালয়ার দিনেই অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হওয়া উচিত। দু’বার বাজলে সেই আবেদন নষ্ট হয়।’’ কেন মল মাসের দরুণ পুজো পিছিয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিয়ে পুরোহিতমশাই বলছেন, ‘‘এই মল মাস হল