প্রতীকী ছবি।
ফের বিজেপিরই অন্দরে নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) দ্রুত কার্যকর করার দাবি উঠল। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অশান্তির বাতাবরণে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার রবিবার ওই আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন। দু’বছর কেটে যাওয়া সত্ত্বেও এখনও কেন সিএএ-র বিধি প্রণয়ন হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের মিলিন্দ দেওরা থেকে শিবসেনার প্রিয়ঙ্কা চর্তুবেদী।
দিল্লির যন্তরমন্তরে আজ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতে সিএএ আনা হলেও দিলীপ আজ এই দেশগুলিতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সম্ভবত আফগানিস্তানের ঘটনা বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তিকে উৎসাহিত করেছে। তাই পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আশা করছি, অতীতের মতো এ ক্ষেত্রেও দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে হাসিনা সরকার।’’
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদী সরকার বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও সিএএ বিল পাশ করিয়েছিল। তবে দু’বছর পরেও কেন ওই আইনের বিধি প্রণয়ন হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা। তাঁর কথায়, ‘‘গোটা ব্যাপারটাই কি গিমিক ছিল?’’ একই সুরে শিবসেনা সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীর প্রশ্ন, ‘‘কোথায় গেল সিএএ?” বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে আক্রমণ নিয়ে কেন্দ্র নীরব কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সিএএ দ্রুত কার্যকর করার দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারও। তাঁর বক্তব্য, সিএএ কার্যকর হলে বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দুরা নাগরিকত্ব মেলার আশা নিয়ে ভারতে আসতে পারবেন। এই মুহূর্তে
ভারত সরকারের এই পদক্ষেপই বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষা করতে পারে। এ দিকে, প্রতিশ্রুতি দিয়েও কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ কার্যকর না করায় পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের আগে কিছু দিনের জন্য ‘বেসুরো’ হয়েছিলেন বিজেপির মতুয়া সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্ব ক্ষোভ মেটাতে শান্তনুকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy