বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচন ঘিরে যাবতীয় জল্পনায় অবশেষে ইতি পড়ল। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল বিজেপি। আগামী বৃহস্পতিবার হবে রাজ্য সভাপতি বাছাইয়ের নির্বাচন। তার আগে বুধবার মনোনয়নপত্র জমার পর্ব সেরে ফেলা হবে। একের বেশি মনোনয়ন জমা না পড়লে বুধবারই রাজ্য সভাপতির নাম চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিজেপি জানিয়েছে, বুধবার মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার পরে সে দিনই তা ‘স্ক্রুটিনি’ করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে চাইলে তা-ও সেই দিনই করে নিতে হবে। বুধবারই চূড়ান্ত প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করে দেবে বিজেপি। এর পরে বৃহস্পতিবার নির্বাচনের পরে সে দিনই রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে কারা ভোট দেবেন, সেই তালিকাও ইতিমধ্যে প্রকাশ করে দিয়েছে বিজেপি। ওই তালিকায় ২৯৪ জনের নাম রয়েছে। প্রতিটি বিধানসভা এলাকা থেকে এক জন করে প্রতিনিধি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। —নিজস্ব চিত্র।
শনিবার রাতে ‘বুথ সশক্তিকরণ অভিযান’ নিয়ে বিজেপির একটি পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ছিল। বিজেপি সূত্রে খবর, ওই বৈঠকেই নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির করা হয়েছে। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল এবং দুই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালবীয়। বঙ্গ বিজেপির বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেই সময় লালবাজারে আটক ছিলেন। সেখান থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি বৈঠকে যোগ দেন।
আরও পড়ুন:
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পরে সেপ্টেম্বর মাসে সুকান্ত রাজ্য বিজেপির সভাপতি হন। দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে সুকান্তের নাম সরাসরি ঘোষণা করা হয় দিল্লির তরফে। পরে প্রদেশ পরিষদের বৈঠক ডেকে সুকান্তের নামে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিলমোহর নেওয়া হয়। সেই থেকে সুকান্তই বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তবে তিনি এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। দু’টি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। এ অবস্থায় বিজেপির ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনে সুকান্ত দলের রাজ্য সভাপতির ছেড়ে দেবেন কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। সে ক্ষেত্রে বুধবার মনোনয়ন পর্ব শেষে চূড়ান্ত প্রার্থিতালিকা প্রকাশের পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।