বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। ফাইল ছবি।
২ মে এবং ৩ অক্টোবর। সময়ের ব্যবধান পাঁচ মাস হলেও হারের ব্যবধান সেই ৫৮ হাজারই থেকে গেল। তিনি ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। এন্টালি বিধানসভার ভোটে তৃণমূলের স্বর্ণকমল সাহার কাছে প্রিয়ঙ্কা হেরেছিলেন ৫৮ হাজার ২৫৭ ভোটে। আর তার পাঁচ মাস বাদে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতার কাছে সেই প্রিয়ঙ্কাই হারলেন ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে। অর্থাৎ ৫৮-র গেরোয় আটকে রইলেন বিজেপি-র আইনজীবী প্রার্থী।
এ বছরেরই ২৯ এপ্রিলের ভোটে এন্টালি কেন্দ্রে তৃণমূলের স্বর্ণকমল সাহা পেয়েছিলেন ১,০১,৭০৯ ভোট, অর্থাৎ ৬৪.৮৩ শতাংশ, আর বিজেপি-র প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা পেয়েছিলেন ৪৩,৪৫২টি ভোট। শতাংশের নিরিখে যা ২৭.৭০ শতাংশ। ২ মে তৃণমূল প্রার্থী জিতেছিলেন ৫৮,২৫৭ ভোটে।
৩ অক্টোবর ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফল বেরোতে দেখা গেল, বিজেপি-র প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা পেয়েছেন ২৬,৪২৮ ভোট, অর্থাৎ ২২.২৯ শতাংশ। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৮৫,২৬৩ ভোট। ৭১.৯১ শতাংশ। বিজেপি প্রার্থীর হারের ব্যবধান ৫৮,৮৩৫ ভোট।
তাহলে কি ৫৮-এর গেরোয় আটকে পড়লেন প্রিয়ঙ্কা? রাজ্য বিজেপি অবশ্য বিষয়টি এ ভাবে দেখতে নারাজ। রাজ্য বিজেপি-র এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘হতে পারে হারের ব্যবধান এক। তবে লড়াইটা আলাদা। ভবানীপুর উপনির্বাচনে তো ঠিকঠাক ভোটই হয়নি। আর প্রিয়ঙ্কা কতটা লড়াকু তা কিছুদিন আগেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় জয় এনে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন।’’
এ দিকে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা হার মেনে নিলেও দাবি করেছেন, ভবানীপুরের ভোটে ব্যাপক রিগিংয়ের শিকার হয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy