দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
কেরলের বন্যাত্রাণে বঙ্গ বিজেপি এখনও এক টাকাও পাঠায়নি। কিন্তু ত্রাণের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরল— দুই সরকারের বিরুদ্ধেই সরব এই রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সোমবার বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কেরলে বন্যাত্রাণে ১০ কোটি টাকা দিয়েছে। ওই টাকায় কী হয়? আর কেরলে আটকে পড়া বাঙালিদের উদ্ধারের জন্যই বা তৃণমূল সরকার কিছু করছে না কেন?’’ দিলীপবাবুর আরও দাবি, ‘‘কেরলে এত বড় বিপর্যয়! বিমান, হেলিকপ্টার যা লাগছে, সবই তো কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে। ছ’লক্ষ মানুষ ঘরের বাইরে আছে। তাদের খাবার, জল, শিশুদের খাবারের ব্যবস্থা, সেনা, আধা সেনা নামানো— সবই তো কেন্দ্রীয় সরকার করছে! রাজ্য সরকার কোথায় আছে, বোঝা যাচ্ছে না।’’ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষদের শিক্ষা ও রুচিতে যে কত বড় খরা, কেরলের বন্যাত্রাণ নিয়ে মন্তব্যে সেটাই ওঁরা প্রমাণ করলেন।’’
রাজ্য বিজেপির যুব, মহিলা, ওবিসি, তফসিলি জাতি এবং জনজাতি মোর্চা এ দিনই প্রথম কেরলের বন্যার জন্য ত্রাণ সংগ্রহ শুরু করেছে কলকাতার কয়েকটি জায়গা এবং হাওড়ায়। তাদের আগে রাজ্যে এই কাজ শুরু করেছে সিপিএম এবং এসইউসি। সে ক্ষেত্রে দিলীপবাবুর যুক্তি, ‘‘ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে, তবে তো নামব! ঠিক সময়েই নামা হয়েছে। যেমন নামা হয়।’’
দিলীপবাবুর পাশাপাশি তাঁর দলের তফসিলি মোর্চাও বন্যাত্রাণে বিজেপির ভূমিকার বিজ্ঞাপনে নেমে পড়েছে। কেন্দ্র ও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি-সহ কে কত সাহায্য পাঠিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার তালিকা পোস্ট করে বিজেপির তফসিলি মোর্চার দাবি, ‘কেরলে বন্যাদুর্গতদের পাশে সবার আগে বিজেপি’। বন্যার মতো ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ে সাহায্য পাঠিয়ে আবার প্রতিযোগিতা? এটা কি দৃষ্টিকটু নয়? দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমরা সেবা করি, তাই বলি। আর এটা তো কংগ্রেসই শুরু করেছে। আমরা তো জবাব দিয়েছি মাত্র।’’
উত্তরে ফিরহাদ বলেন, ‘‘এ সব কথার প্রতিক্রিয়া দিতেও রুচিতে বাধে। তবে হেলিকপ্টারে ঘুরলেই তো আর মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছয় না। বড় বড় কথা বলার আগে ওঁদের জানা উচিত, কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার উজাড় করে দিয়েছে। ওরা বঞ্চনা না করলে আরও বেশি দেওয়া যেত। বিমান, সেনা— এ সব কি রাজ্যের হাতে? তারা নামাবে? কেরলের এখন যা দশা, তাতে কেন্দ্র যা দিচ্ছে, তাতেই বা কী হয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy