ভবানীপুর উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রচারে গেলেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।
উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে ভবানীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের দায়িত্ব থেকে ফিরহাদ হাকিমকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতৃত্ব। ওই নির্বাচনে প্রশাসনকে ব্যবহার করার আশঙ্কা জানিয়ে ভবানীপুরে উপনির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফিরহাদকে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়ার দাবি নিয়েও স্মারকলিপি দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। আজ বিকেলে লকেট চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত, অরুণ সিংহ, শিশির বাজোরিয়ারা কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে ফিরহাদের প্রসঙ্গটি ছাড়াও, ওই এলাকায় শান্তিতে ভোট করানোর দাবিতে অন্তত ৪০ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েনের আর্জি জানান।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ও পরে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব রয়েছে বিজেপি। ভবানীপুরে ভোটের সময়ও তৃণমূল হিংসার পথে হাঁটবে বলে কমিশনের কাছে আজ আশঙ্কা প্রকাশ করে বিজেপি। স্মারকলিপিতে বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন, আসন্ন নির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। সেটা জিততে তৃণমূল তাদের সব দুষ্কৃতী-সমাজবিরোধীদের জড়ো করা শুরু করেছে। তাই ভবানীপুরে উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে অন্তত ৪০ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করুক কমিশন। রাজ্যের অন্য দুটি কেন্দ্র, শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে অন্তত ২৫ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করার দাবি তোলা হয়েছে।
আজ কমিশনের কাছে মমতাকে জেতাতে সরকারি প্রশাসনতন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। বৈঠকের পর বেরিয়ে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল, ভবানীপুর এলাকায় অনেক বুথে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে ব্যবধান বেশ কম। সেই ভয়ে বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে লড়তে যান মমতা। সেখানে হেরে গিয়ে এখন আবার ভবানীপুরে ফিরে এসেছেন। পুরসভার প্রশাসক তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কী ভাবে ছাপ্পা ভোট মেরে মমতাকে জেতানো যায়, তার পরিকল্পনা করছেন।’’
আজ কমিশনের কাছে ফিরহাদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য, মসজিদ থেকে ভোটের প্রচার চালানো, কলকাতার কিছু অংশকে মিনি পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। লকেট বলেন, ‘‘অবিলম্বে ভবানীপুরে ফিরহাদ হাকিমের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা যাতে জারি করা হয়, তার জন্য কমিশনের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে।’’ ওই অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় পাল্টা বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন স্বতন্ত্র সাংবিধানিক সংস্থা। সেখানে এ ধরনের আজগুবি অভিযোগ আদৌ ধোপে টিকবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy