E-Paper

হিন্দু ভোটারদের ‘নাম বাদ’, পথে নেমে সরব শুভেন্দুরা

যুব মোর্চা বুধবার দলের রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেন থেকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:৫০
শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের তাবড় নেতা-কর্মীরা। পাল্টা এ বার তৃণমূলের হাত থেকে ‘হিন্দু ভোটারদের বাঁচানো’র ডাক দিয়ে মিছিল করল বিজেপির যুব মোর্চা। সেখান থেকেই তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পক্ষান্তরে, ভোটার তালিকায় নাম ওঠা বা বাদ দেওয়ার বিষয়টি যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন, তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল।

যুব মোর্চা বুধবার দলের রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেন থেকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেয়নি। পরে কলকাতা হাই কোর্টের শর্ত অনুযায়ী পথ বদলে ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল করেছেন শুভেন্দু, মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায়, তমোঘ্ন ঘোষ প্রমুখ। সেখান থেকেই শুভেন্দুর অভিযোগ, “তৃণমূল দীর্ঘ দিন বাংলায় বাস করা হিন্দিভাষীদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে চাইছে। ওঁরা বাড়িতে হিন্দিতে কথা বললেও বেশভূষা, খাদ্যাভ্যাস, আচার-আচরণে বাঙালি। আর তৃণমূলের লক্ষ্য, নিজেদের ধর্ম বাঁচাতে বাংলাদেশ থেকে এক কাপড়ে ভারতে চলে আসা উদ্বাস্তুরা।” বিরোধী দলনেতার দাবি, “তৃণমূল ৭ লক্ষ নাম বাদ দিতে কমিশনে গিয়েছে। এক জনের নাম বাদ গেলেও আমরা লড়াইয়ে নামব।”

যদিও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পাল্টা বলেছেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। ভোটার তালিকায় কারও নাম ওঠা, বাদ যাওয়ার বিষয়টি ঠিক করে দিল্লির নির্বাচন কমিশন।” বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করে তাঁর আরও বক্তব্য, “আসলে ‘স্ক্রুটিনি’ করতে সংগঠন লাগে। শুভেন্দু বলেছেন, রামনবমীতে দেড় কোটি লোক পথে নামবেন। এতেই স্পষ্ট, গত ভোটের থেকে ওঁদের লোক প্রায় এক কোটি কমে গিয়েছে। আর রাজ্যের জনসংখ্যা ন’কোটির বেশি।”

মিছিল শেষে এ দিন শুভেন্দু-সহ বিজেপির প্রতিনিধিদল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে গিয়ে দাবিপত্র জমা দিয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু রাজ্যের কিছু বিধানসভায় ভোটার বৃদ্ধির হার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, “২০২৫-এর ৫ জানুয়ারির ভোটের তালিকা অনুযায়ী রাজ্যে ভোটার বৃদ্ধির হার ৮.৬৯%। কিন্তু ১৩৬টি বিধানসভা, যার মধ্যে ৮২টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত, সেখানে এই হার মাত্রাতিরিক্ত।” পাশাপাশি, বিরোধী দলনেতার দাবি, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদের জন্য রাজ্য দু’দফায় মোট পাঁচ আধিকারিকের নাম পাঠালেও জাতীয় নির্বাচন কমিশন তা খারিজ করে দেয়। পরে পুরো তালিকা চেয়ে পাঠিয়ে সেখান থেকে মনোজ আগরওয়ালকে বেছে নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই সূত্রেই মনোজ সম্পর্কে শুভেন্দুর দাবি, “ওঁকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্যারাজ করে দিয়েছিলেন। আমি আপনাকে বলব, বিজেপিকে সুবিধা দিতে হবে না। শুধু আপনি আরিজ আফতাব (প্রাক্তন সিইও) হয়ে যাবেন না।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Suvendu Adhikari BJP TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy