রাজ্য বিজেপিতে আদি-নব্য দ্বন্দ্বের মাঝেই ফের গুরুত্ব পেতে চলেছেন নব্যরা। অর্জুন সিংহের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর দিলীপ ঘোষের মতো প্রবীণ নেতারা এঁদের দলে নিয়ে কী লাভ হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। সূত্রের খবর, এই আবহে যাতে ফের ভাঙন ঠেকানো যায়, কার্যত সেজন্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই নেতাকে দলের শ্রমিক ও যুব শাখার সাংগঠনিক কাজ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে স্বয়ং সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডাকে। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে রাজ্য দফতরে রাজ্য সভাপতির সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে থাকবেন তিনি।
অর্জুনের দলত্যাগের জেরে মঙ্গলবারও বৈঠক করেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা। সূত্রের খবর, বৈঠকে শ্রমিক সংগঠন দেখার দায়িত্ব পেয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া আর এক নেতাকে যুব সংগঠনকে আন্দোলনমুখী করতে বিশেষ সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথমে কথা ছিল, মোদী সরকারের ৮ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে জেলায় জেলায় কর্মসূচি স্থির হবে আলোচনায়। কিন্তু বড় হয়ে ওঠে, দল কী করে ধরে রাখা যায় সেই আলোচনা।
সূত্রের খবর, বৈঠকে বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, যুব সংগঠন যতটা শক্তিশালী, একটি দল ততটাই শক্তিশালী হয়। উল্লেখ্য, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময় শুভেন্দু ছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি। তৃণমূল ছেড়ে আসা সৌমিত্র খাঁ যুব মোর্চার সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। বর্তমানে ইন্দ্রনীল খাঁ দায়িত্ব নিলেও ইদানিং যুব মোর্চাকে কার্যত রাস্তায় খুঁজেই পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে বাকি বিরোধী দলের যুব সংগঠনগুলি যখন রাস্তায় নামছে নিয়মিত। ফলে বৈঠকে যুব মোর্চার কাজ নিয়ে যথেষ্ট উষ্মা ছিল।