বুথ প্রতি অন্তত ২০ জন নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
বুথের শক্তি বাড়াতে জেলায় ছুটছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। পকেটে থাকছে চিরকুট। সেখানেই রয়েছে রাজ্য দফতর থেকে ছকে দেওয়া শক্তি বাড়ানোর ‘ফর্মুলা’। সেখানেই বুথ প্রতি অন্তত ২০ জন নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয়েছে। অভিযানে ৩৫ হাজার কর্মীকে শামিল করার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।
লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পঞ্চায়েতে নিজেদের নিচু তলার শক্তি পরীক্ষা করে নিতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। সেই উদ্দেশ্যেই বুথের শক্তি বাড়াতে জেলায় যাচ্ছেন শীর্ষ নেতারা। নির্দিষ্ট লোকসভা ও বিধানসভা আসন ধরে তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্য দফতর থেকে একটি সার্কুলার পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই সার্কুলারে বলা হয়েছে ৩১ জনের বুথ কমিটি গঠনের কথা। তার মধ্যে অন্তত ২০ জন নতুন মুখ অনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু যেখানে বাস্তবে ১০%-এর বেশি বুথ কমিটি তৈরি সম্ভব হয়নি, সেখানে বুথপ্রতি ২০ জন নতুন মুখ আনা কী ভাবে সম্ভব, সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দলের অন্দরেই।
সূত্রের খবর, বুথ শক্তিশালী করার অন্যতম পদ্ধতি সদস্য সংখ্যা বাড়ানো। তাই নতুনদের সদস্য করতেও বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মাসের শেষ রবিবার প্রতি বুথে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার দিকে জোর দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া সূত্রের দাবি অনুযায়ী ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এলাকার সমবায় ব্যাঙ্ক, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও অ-সরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে। উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভিজ্ঞতা এবং অভাব-অভিযোগ জনার চেষ্টা করতে হবে। এ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, দলকে দৃশ্যমান করতে প্রতিটি বুথে অন্তত পাঁচটি দেওয়াল লেখার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে এলাকায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী সেই সুবিধা প্রাপকদের নিয়ে সম্মেলন করতে হবে। কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে যাতে রাজ্য সরকার নিজেদের কৃতিত্ব প্রচার করতে না পারে, সেই কারণে প্রাপকদের সচেতন করতে হবে। এ ছাড়া সামাজিক মাধ্যমে যাঁরা দলের কথা প্রচার করেন তাঁদের বাছাই করে বিশেষ সম্মান দিতে হবে। তাঁদের মাধ্যমেও প্রচার চালানো হবে। রাজ্যের কোন জেলায় বুথমুখী ওই অভিযান কতটা এগিয়েছে তার উপরে দিল্লি থেকে সরল অ্যাপের মাধ্যমে নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
রাজ্য বিজেপির ছকে দেওয়া পরিকল্পনা বাস্তবে কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে কিন্তু যথেষ্টই দ্বিধা রয়ে গিয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “অনেক বুথ আছে যেখানে আমরা ১০০-১৫০ ভোট পেয়েছি। সেখানে কি ৩১ জনের কমিটি গড়া যাবে না? তবে কিছু জায়গায় এখনও সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায়। সেখানে কী ভাবে সংগঠন তৈরি করা যায়, সেই পরিকল্পনা করতেই নেতারা গ্রামে যাচ্ছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy