কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। ফাইল চিত্র।
মতুয়াদের ধর্মগুরু হরিচাঁদ গুরুচাঁদের ‘অপমান’ মতুয়ারা মেনে নেবেন না বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁরা পঞ্চায়েতে ভোটবাক্সে মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল মতুয়াদের যে সমর্থন পেয়েছিল, তা আর পাবে না। এমনিই ঘা খাবে।’’
সম্প্রতি মালদহের গাজলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি উচ্চারণ-প্রমাদকে কেন্দ্র করে মতুয়াদের একাংশ ক্ষুব্ধ বলে অভিযোগ। বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ-বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। সেখানে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে বিজেপির স্থানীয় নেতাদের। বিতর্ক জিইয়ে রাখার চেষ্টা ছাড়ছেন না তাঁরা। অন্য দিকে, তৃণমূল শিবির মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো সখ্যের কথা বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছে।
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার আউলডাঙায় বিজেপির এক সভায় এসেছিলেন শান্তনু। মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘দশ কোটি মতুয়া কেউ আপনাকে ছেড়ে দেবেন না। যাঁরা তৃণমূল করেন, তাঁরাও ছেড়ে দেবেন না।’’ তবে তৃণমূলপন্থী মতুয়ারা ‘টাকা কামাচ্ছেন’ বলে এখনই সে পথে হাঁটছেন না বলে মনে করেন শান্তনু।
এ দিন আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। সভা শুরুর আগে এক বৃদ্ধা এসে শান্তনুকে জানান, বার্ধক্য ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। শান্তনু পরে বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।’’ যে এলাকায় এ দিন সভা হয়েছে, সেই রণঘাট পঞ্চায়েতে প্রায় ১০ কোটি টাকার তছরুপ হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। কেন্দ্রীয় সংস্থা পরে এ সবের তদন্ত করবে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস পরে বলেন, ‘‘রাজনৈতিক জমি হারানোর ভয়ে আছেন উনি (শান্তনু ঠাকুর)। জনসংযোগও নেই। তাই ভুলভাল কথা বলছেন।’’ দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে রণঘাট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সম্রাট মণ্ডল বলেন, ‘‘ওঁর হাতে ক্ষমতা আছে। উনি কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্ত করে দেখুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy