Advertisement
১১ মে ২০২৪
Nandigram

২০ কিমি হাঁটার চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন অভিষেক, তবে নন্দীগ্রামে পাল্টা মিছিলে শুভেন্দুর জোর জমায়েতেই

রাজনৈতিক কর্মসূচির জবাব পাল্টা রাজনৈতিক কর্মসূচিতেই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। নন্দীগ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের পাল্টা মিছিল করে জবাব দেবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Suvendu Adhikari and Abhishek Banerjee

শুভেন্দু অধিকারী (বাঁ দিকে)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩ ১৪:৫৯
Share: Save:

রাজনৈতিক কর্মসূচির জবাব রাজনীতির মাধ্যমেই দেওয়া হবে। নন্দীগ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের পর এমন দাবিই করেছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর শিবির। গত বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে শুভেন্দুর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

সেই পদযাত্রার পাল্টা রাজনৈতিক কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু। আগামী ১৬ জুন, শুক্রবার নন্দীগ্রামে ওই মিছিল হবে বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তবে টানা হাঁটা বা পদযাত্রা নয়, শুভেন্দু শিবির পাল্টা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জোর দিচ্ছে জমায়েতের উপরেই। ১৬ জুন বিকেল ৩টেয় নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা-কর্মীদের মিছিলে সামিল হতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। প্রকাশ্যে অভিষেকের পদযাত্রাকে পাত্তা দিতে চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। তবে পাল্টা দিতে চাইছেন তো বটেই। আর সেটা রাজনৈতিক ভাবেই।

তবে অভিষেকের পদযাত্রা বৃহস্পতিবার যে রাস্তা দিয়ে গিয়েছিল, বিজেপি নেতৃত্ব সেই পথে মিছিল করবেন না বলেই শুভেন্দু শিবির সূত্রের খবর। তাঁর মিছিলের ‘রুট’ হতে পারে কান্দুয়া মোড় থেকে নন্দীগ্রাম জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত। তুলনামূলক ছোট মিছিলে বড় জমায়েত করতে চাইছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, অভিষেক ওই মিছিলে ২০ কিলোমিটার হেঁটেছিলেন সাত ঘণ্টায়। নন্দীগ্রামে পৌঁছে তিনি শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, ‘‘গদ্দার পারবে?’’ অর্থাৎ, শুভেন্দু (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক প্রকাশ্যে শুভেন্দুকে ওই নামেই ডেকে থাকেন) কি পারবেন তাঁর মতো ২০ কিলোমিটার হাঁটতে! শুভেন্দু তার কোনও জবাব দেননি। তবে তাঁর শিবির এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপি নতৃত্বের তরফে জানা গিয়েছে শুভেন্দুর মিছিলের রুট।

অভিষেকের মিছিল হয়েছিল চণ্ডীপুর বিধানসভা থেকে নন্দীগ্রাম বিধানসভার কেন্দ্রীয় এলাকা পর্যন্ত। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব তাঁদের মিছিল সীমাবদ্ধ রাখতে চান নন্দীগ্রাম বিধানসভার মধ্যেই। তবে প্রকাশ্যে তাঁরা এই মিছিলকে অভিষেকের মিছিলের ‘পাল্টা কর্মসূচি’ বলতে নারাজ। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘‘আমরা বিধানসভা এলাকার বাইরের বা জেলার বাইরে থেকে লোকজন এনে মিছিল করার পক্ষপাতী নই। অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা করতে তো গোটা পূর্ব মেদিনীপুর-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে লোক আনা হয়েছিল! কিন্তু বিরোধী দলনেতা মিছিলে হাঁটবেন কেবলমাত্র নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার নেতা-কর্মীদের নিয়েই। আর এই কর্মসূচি হবে সুষ্ঠু পঞ্চায়েত নির্বাচন ও রাজ্য সরকারের লাগামহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে।’’

নন্দীগ্রামে অভিষেকের পদযাত্রা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘‘স্বাধীন দেশে সকলের অধিকার রয়েছে যে কোনও জায়গায় রাজনৈতিক কর্মসূচি করার। কোনও এক জন নেতা কোনও একটি স্থানে রাজনৈতিক সভা করতে গেলে আমার কী বলার থাকতে পারে!’’ কিন্তু অভিষেক তাঁর ‘নব জোয়ার’ অভিযানে পূর্ব মেদিনীপুরের কর্মসূচি শেষ করতেই শুভেন্দু শিবির জানিয়ে দিয়েছে, রাজনৈতিক ভাবেই জবাব দেওয়া হবে অভিষেকের পদযাত্রার।

‘জনসংযোগ যাত্রা’য় আগাগোড়াই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নিশানায় ছিলেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। ‘জনসংযোগ যাত্রা’ গত ৩০ মে প্রবেশ করেছিল পূর্ব মেদিনীপুরে। তার পরেই বিরোধী দলনেতার উপর আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছেন অভিষেক। কেন্দ্র থেকে বিজেপির সরকার চলে গেলে তার এক মাসের মধ্যে হাতে হাতকড়া পরিয়ে বিরোধী দলনেতাকে জেলে পাঠানোর হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE