দিলীপের উত্তর, ‘‘জানি, নতুন কমিটি নিয়ে বেশ কিছু ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আসলে মে মাসের পর থেকেই দলের কর্মীদের উপর নানারকম অত্যাচার হয়েছে। সবমিলিয়ে মন খারাপ রয়েছে সকলের। তাই একটু মন খারাপ রয়েছে। সেটা কেটে যাবে।’’ ফাইল চিত্র
শান্তনু ঠাকুরদের চড়ুইভাতি নিয়ে যখন বিজেপি-র অন্দরে নানা প্রশ্ন, সে সময়ই ‘বিক্ষুব্ধদের’ পাশেই দাঁড়ালেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি-তে কেবল নিরামিষ হয় না। আমিষও হয়। মাছ-মাংস খাওয়া হয়। মাঝেমধ্যে পাত পেড়ে বিরিয়ানিও খাওয়া হয়। দলের নেতারা একসঙ্গে পিকনিক করছেন, খাওয়া দাওয়া করছেন, তাতে তো অসুবিধা নেই। হতেই পারে।’’
শনিবার কলকাতায় বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বৈঠক করেন শান্তনু। মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা শান্তনু রবিবার ঠাকুরনগরে বৈঠক করেন মতুয়া বিধায়ক ও অন্য নেতাদের নিয়ে। অতঃপর, সোমবার আয়োজন হয় চড়ুইভাতির। কলকাতা, হুগলি থেকেও রাজ্য বিজেপি-র বিক্ষুব্ধ নেতারা যান বনগাঁর নহাটায়। সেখানেই হয় পিকনিক-প্রতিবাদের আয়োজন।
নতুন কমিটিতে জায়গা না পাওয়া সায়ন্তন বসু, রীতেশ তিওয়ারিরা প্রথম থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঘনিষ্ঠ মহলে। অন্য দিকে, জেলা সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশের পরে সাংগঠনিক হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন মতুয়া বিধায়করা। সেই ক্ষোভের সুরকে আরও মজবুত করে দলের একাধিক হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু। তাঁর সব রাগই রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে ঘিরে। প্রকাশ্যেই নাম না করে অমিতাভের দিকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার তির ছুড়েছেন শান্তনু। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন সায়ন্তন, জয়প্রকাশ, রীতেশের মতো পরিচিত মুখেরা।
এ নিয়ে প্রশ্ন করতে দিলীপের উত্তর, ‘‘জানি, নতুন কমিটি নিয়ে বেশ কিছু ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আসলে মে মাসের পর থেকেই দলের কর্মীদের উপর নানারকম অত্যাচার হয়েছে। সবমিলিয়ে মন খারাপ রয়েছে সকলের। তাই একটু মন খারাপ রয়েছে। সেটা কেটে যাবে। সময় দিলেই কেটে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy