Advertisement
E-Paper

মাঠ নিয়ে ক্ষোভ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

এ দিন মাঠ পরিদর্শনের পরে রাহুল জানান, ২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সভা নিয়ে আর কোনও অনিশ্চয়তা নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৪১
দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে রাহুল সিংহ ও বাবুল সুপ্রিয়। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে রাহুল সিংহ ও বাবুল সুপ্রিয়। নিজস্ব চিত্র

প্রধানমন্ত্রীর সভার মাঠ পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের উপরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে নরেন্দ্র মোদীর সভার মাঠ পরিদর্শনে আসেন দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। এই সভার জন্য বিজেপি-র প্রথম পছন্দ ছিল রাজীব গাঁধী ময়দান। তা না মেলায় রাহুলের অভিযোগ, ‘‘যখন কেউ হেরে যায় তখন ছোট-ছোট বিষয়েও বাধা দেয়। সিপিএম এই ভাবে চেষ্টা করেও বিনাশ রুখতে পারেনি। তৃণমূলও একই পথে হাঁটছে।’’

এ দিন মাঠ পরিদর্শনের পরে রাহুল জানান, ২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সভা নিয়ে আর কোনও অনিশ্চয়তা নেই। আজ, মঙ্গলবার স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) পরিদর্শন করার পরেই মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়ে যাবে। বড় মাঠ ও যোগাযোগের সুবিধার কারণে রাজীব গাঁধী ময়দান এই সভা আয়োজন করতে চেয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু ৩ ফেব্রুয়ারি সেখানে অন্য একটি সমাবেশের জন্য মণ্ডপ বাঁধা-সহ নানা প্রস্তুতি চলছে। শুক্রবার ওই মাঠ পরিদর্শনের পরে এসপিজি জানিয়ে দেয়, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সভা করা যাবে না। এর পরেই ঠিক হয়, নেহরু স্টেডিয়ামে সভা হবে। প্রাথমিক পরিদর্শনের পরে এসপিজি-ও সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে বিজেপি নেতারা জানান।

রাহুল বলেন, ‘‘এসপিজি-র পরামর্শ মেনে ঠিক হবে মাঠের কোথায় মঞ্চ হবে। তবে মাঠে লাখখানেকের বেশি মানুষের জায়গা হবে না। সে দিন পুরো দুর্গাপুর শহর বিজেপি-র জনসভার মাঠে পরিণত হবে।’’ তবে রাজীব গাঁধী ময়দান না পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের উপরে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাহুলের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল যে হেরে গিয়েছে এটাই তার প্রমাণ।’’ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে মোদীর সভার দিন ঘোষণার পরেই সব মাঠ দখল হয়ে যায় বলেও অভিযোগ তাঁর।

বাবুল অভিযোগ করেন, আগে জানানো সত্ত্বেও এ দিন তাঁদের মাঠ পরিদর্শনের সময়ে পুলিশের কাউকে দেখা যায়নি। তবে তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সভা হলে সাংবিধানিক প্রক্রিয়াতেই পুলিশকে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। তাই বিষয়টি নিয়ে তিনি অভিযোগ করতে চান না। লোকসভা নির্বাচনে তিনি কি আসানসোল ছেড়ে পুরুলিয়ার মতো কোনও এলাকার আসনে দাঁড়াবেন? বাবুল বলেন, ‘‘চ্যালেঞ্জ নিতে চাই। যেমন গত বার ছিল আসানসোল। পুরুলিয়ায় আমাদের সংগঠন ভাল। আমি চাইব, কোনও তরুণ নেতা সেখান যান। দল যেখানে চাইবে সেখানেই দাঁড়াব।’’

এ দিন অণ্ডালের লোকো গেটের কাছে বিজেপি কার্যালয়ে মোদীর সভার জন্য প্রস্তুতিসভা করে দলের আসানসোল জেলা কমিটি। সেখানে রাহুল সিংহ, বাবুল সুপ্রিয় ছাড়াও ছিলেন দলের জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই ও জেলার ৩৪টি মণ্ডল কমিটির প্রতিনিধিরা। জেলা সভাপতির দাবি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, মোদীর সভার জন্য এক লক্ষ লোক জড়ো করবেন। তাতেই দুর্গাপুরে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উচ্চ নেতৃত্ব। বিজেপি-র একটি সূত্রের দাবি, মণ্ডল কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় ঠিক হয়েছে, ছোট-বড় মিলিয়ে মোট তিন হাজার গাড়িতে লোক আনা হবে সভায়।

বিজেপি-র মাঠ নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে উন্মাদনা নেই। লোক হবে কি না, বিজেপি নেতারাই সে নিয়ে সংশয়ে। তাই সব জেনেও মিথ্যা অভিযোগ করছে বিজেপি।’’ পুলিশের কর্তারা বাবুলের অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

TMC BJP Meeting Narendra Modi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy