সভাপতি ঘোষণার পরেই পুরোপুরি নির্বাচনী পরিমণ্ডলে ঢুকে পড়ল বঙ্গ বিজেপি। নতুন রাজ্য সভাপতির উপস্থিতিতে শুক্রবার দিনভর পাঁচটি সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। বঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসলই মূলত এই বৈঠকগুলির পৌরোহিত্য করেছেন। নির্বাচনী রণকৌশলের জন্যই এ দিনের বৈঠকে হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই কারণে অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে জয়ী, পরাজিত প্রার্থীদেরও ডাকা হয়েছিল। মূল লক্ষ্য, ২০২১-এর ভুলের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। সূত্রের খবর, স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাংসদ, বিধায়ক, পুর-প্রতিনিধি, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের সব জনপ্রতিনিধিকে নিজের বুথে জেতার দায়িত্ব নিতে হবে। এ ছাড়াও, যাঁরা যেখানে প্রার্থী হয়েছিলেন এবং রাজ্যের প্রথম সারির নেতৃত্বকেও নিজেদের বুথের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই বিভিন্ন কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে এ দিনের বৈঠক থেকে। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার পরিকল্পনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে অনেকেই নিজেদের নির্বাচনী অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন। সেই বিষয়েও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে প্রয়োজনীয় আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও, ‘নেতিবাচক’ প্রচারের পাশাপাশি ‘ইতিবাচক’ প্রচারের দিকে জোর দিতে বলা হয়েছে। যে কারণে পুজোর পরেই ঘোষণাপত্র(নির্বাচনী ইস্তাহার) প্রকাশ করে দিতে পারে বিজেপি। তার আগে জেলায় জেলায় ঘুরে স্থানীয় মানুষের সমস্যা, তাঁদের চাহিদা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া হবে। এক রাজ্য নেতার বক্তব্য, ‘‘নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন আমরা নিজেদের ঘর সাজানোর কাজ করছি।’’ সূত্রের খবর, এরই মধ্যে জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের বঙ্গ সফরে আসতে পারেন। মেট্রো রেলের কোনও প্রকল্পের উদ্বোধনে কলকাতায় এসে লাগোয়া কোনও জায়গায় জনসভা করতে পারেন তিনি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)