শবদাহকের ভূমিকায় দার্জিলিঙের বিজেপি বিধায়ক নীরজ।
করোনাকালে অনেক স্বেচ্ছাশ্রমের ছবি দেখা গিয়েছে নানা জায়গায়। এ বার তেমনই এক নজির তৈরি করলেন দার্জিলিঙের বিধায়ক নীরজ জিম্বা তামাং। শ্মশানে প্রধান সৎকার কর্মী না থাকায় সোমবার কোভিডে মৃতের চিতা সাজালেন নিজে হাতে। পিপিই কিট পরে সৎকারে হাত লাগালেন অন্যদের সঙ্গে।
নীরজ জানিয়েছেন, দার্জিলিঙের মুক্তিধাম শ্মশানে করোনায় মৃতদের দেহ সৎকারের কাজে মূল ভূমিকা নেওয়া আমির গুরুংকে ক’দিন আগে কয়েক জন মারধর করেন। এর পরে ভয়ে আর শ্মশানে আসছেন না আমির। এই পরিস্থিতিতে তিনি স্বয়ং ওই কাজ করেছেন বলে জানান নীরজ। তিনি বলেন, ‘‘আসলে অ্যাম্বুল্যান্স চালক হলেও আমির গুরুং স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে করোনায় মৃতদের সৎকারের কাজ করেন। কিন্তু ক’দিন আগে এক মৃতের আত্মীয়রা তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। সামান্য কিছু ভুলের জন্য আমিরের উপরে চড়াও হন কয়েকজন। এর পর থেকেই সঙ্কট তৈরি হয়েছে।’’
নীরজ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তিনি আমিরের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর উপরে যাতে এমন আক্রমণ না হয় সে দিকে নজর রাখার আশ্বাসও দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন নীরজ।
বিজেপি-র টিকিটে দার্জিলিং আসনে জিতলেও নীরজ বরাবরই সুবাস ঘিসিং-এর জিএনএলএফ দলের সদস্য। ২০১৯ সালে বিজেপি-র টিকিটেই দার্জিলিঙের উপনির্বাচনে জেতেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নীরজই সর্বকনিষ্ঠ গোর্খা বিধায়ক হন ৩৬ বছর বয়সে। নীরজ বলেন, ‘‘দার্জিলিঙে শব দাহ করার জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও বৈদ্যুতিক চুল্লি নেই। বিধায়ক হিসেবে আমি এ বার সেটা করার চেষ্টা করব।’’ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় শ্মশানকর্মী হিসেবে কাজ করা আমিরকে উৎসাহ দিতে তাঁর ৩ মাসের বিধায়ক ভাতা বাবদ পাওয়া টাকা দেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy